প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদ কুলি খানের কন্যা ছিলেন আজিমুন্নেসা বেগম। জনশ্রুতি রয়েছে, কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় নবাবি হেকিম দৈনিক একটি মানব শিশুর কলিজা দিয়ে ওষুধ তৈরি করে দিতেন। অসুখ সেরে গেলেও তিনি মানবশিশুর কলিজায় নেশাগ্রস্ত হয়ে গোপনে নিয়মিতভাবে শিশুদের কলিজা খেতে থাকেন। এই ঘটনা মুর্শিদকুলি খাঁ জানতে পেরে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার নির্দেশ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের মরশুমেও সবজির দামে আগুন! এবার অ্যাকশন নিতে চলেছে প্রশাসন, কারণ খুঁজতে চলবে অভিযান
পরবর্তীতে এই স্থান পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা দেখতে ভিড় জমান দেশ বিদেশের সাধারণ মানুষ। বর্তমানে এই স্থান রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক পর্যটক। এক পর্যটক জানালেন, “গত চার বছর আগে এসেছিলাম, এ বছর এসে দেখলাম পরিকাঠামো ব্যবস্থা অনেকটাই বেহাল।” তিনি বলেন, “আরও একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সঙ্গে একজন ভাল টুরিস্ট গাইড থাকলে আরও ভাল লাগত।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে এর পর্যটন স্থলে অবহেলার ফলে এই এলাকায় সেভাবে কোনও দোকানপাট ও বাণিজ্যিক পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। স্থানীয় এক টোটো চালক জানালেন, আগের মতো এই স্থানে আর ভিড় জমান না সাধারণ মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে কি গুরুত্ব কমতে চলেছে আজিমুন্নেসা বেগমের সমাধিস্থল অর্থাৎ জেলাবাসীর কাছে যা জীবন্ত কবর নামে পরিচিত। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অরিন্দম রায় জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলার গৌরবজ্বল ইতিহাস কেন্দ্র হল হাজারদুয়ারি। তাকে কেন্দ্র করেই বেশ কিছু স্থান রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম এই আজিমুন্নেসা বেগমের সমাধিস্থল।কিন্তু পুরাতত্ত্ব দফতরের অবহেলার কারণে এই পর্যটন কেন্দ্র স্থল অবহেলার মধ্যে পড়ে রয়েছে। দৈনন্দিন পর্যটকের সংখ্যাও কম থাকে।





