তারপর তিনি অংশগ্রহণ করেন প্রাণহীন পাথরে পাহাড়ে গাছ লাগিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিরাট কর্মযোগে। আজ পার হয়েছে ১৬ বছর। বিসিন্দা পাহাড় এখন আর চেনা যায় না, সবুজের গালিচায় ঢাকা পড়েছে এই পাহাড়। এখনও এই পাহাড়ের কোলে একাকী জীবন যাপন করছেন তিনি। আর সারাদিন ধরে এদিক-ওদিক করে চলেছেন পরিচর্যা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত রাসবিহারী কুম্ভকারের জীবন কেমন! এবার দেখা যাবে সিনেমায়, হয়ে গেল শুটিং
advertisement
জনৈক জিতেন গড়াই এবং স্থানীয় বেশ কয়েকজন মানুষের সহযোগিতায় একটি আস্ত পাহাড় ভরে উঠেছে গাছগাছালিতে। গাছ বাবা বাসিন্দা ছিলেন বিসিন্দা গ্রামেরই। তার আঞ্চলিক নাম ছিল লক্ষীকান্ত লায়েক। তারপর সাধনা ভজন করতে উত্তর প্রদেশ যান তিনি। ২০০৯ সালে ফিরে আসেন বিসিন্দা পাহাড়ের কোলে। এখন একা একাই পাহাড়ে জীবন কাটছে তার। দর্শনার্থীদের আগমন হলে দুবেলা দু’মুঠো খেতে পান এই গাছবাবা।
জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা “মানজি দ্য মাউন্টেন ম্যান” এর মুখ্য চরিত্রটি একটি আস্ত পাহাড় ভেঙে তৈরি করেছিলেন রাস্তা। ঠিক সেই রকমই বাঁকুড়ার এই গাছ বাবা বাঁকুড়ার একটি রুক্ষ শুষ্ক পাথুরে টিলাতে ফুটিয়েছেন প্রাণ। একটি ত্রিশুলের মত শাবল, সঙ্গে একদমই সাধারণ জীবন যাপন করেই পরিবেশের প্রতি অসম্ভব একটি দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়ার সন্ত বাংলা প্রসাদের এই বিশাল কর্মকাণ্ড একটি অনুপ্রেরণা কাজ করবে এমনটাই আশা করা যায়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





