তাঁদের বাড়ির একেবারে পাশ ঘেঁষে গিয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের হাই টেনশন লাইন। শুক্রবার সকাল নাগাদ সেই লাইনেই একটি হনুমান চলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আরেকটি হনুমানও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লায়লা আনজুমান খাতুনের বাড়িতে ঘটে শর্ট সার্কিট ও অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তেই ঘরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরোনোর পথ না পেয়ে মা ও ছেলে আটকে পড়েন ভেতরে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে এসে জানালা ভেঙে কোনওরকমে তাঁদের প্রাণে উদ্ধার করেন। লায়লা আনজুমান খাতুন জানিয়েছেন, আমি আশার কাজ করি। আমার অনেক জরুরী কাগজ পুরে গিয়েছে। কিছু টাকাও পুড়েছে তবে সঠিক ভাবে এখন সেটা বলতে পারব না। এই তার অতি দ্রুত সরানোর প্রয়োজন রয়েছে। এরকম ঘটনা যেন অন্য কারও সঙ্গে না হয়। একটু জন্য মা ছেলে প্রাণে বেঁচেছি।
ঘটনার জেরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র, মূল্যবান সামগ্রী এবং আনজুমান দেবীর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র! স্থানীয়রা অবিলম্বে ওই লাইন বাড়ির পাশ থেকে অন্যত্র সরানোর দাবি তুলেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনও সময় আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।





