নবাবি ঘরানায় বসবাস করেন রেজা আলি মির্জা। লালবাগ শহরের অদূরেই তাঁর বাসভবন। বর্তমানে হাজারদুয়ারি অনেকেই দেখতে আসেন। পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল হয়েই হাজারদুয়ারিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটনক্ষেত্র। আর একটা সময় বাংলা বিহার ওড়িশার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে যুদ্ধের সময়, সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এই সূত্রে যে কোন বিশ্বাসঘাতককে বাংলা ভাষায় ‘মীরজাফর’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। আর সেই মীরজাফরের বংশধর আছেন মুর্শিদাবাদে।
advertisement
আরও পড়ুন : শীতে দিনের এই ‘বিশেষ’ সময়ে খান রুটি-গুড়! পালাবে সর্দিকাশি, পেটের রোগ
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম পরিচিত মানুষ ছোটে নবাব হিসেবেই পরিচিত রেজা আলি মির্জা। কিন্তু তিনি আসলে মীরজাফরের বংশধর। রেজা আলি মির্জার কথায়, ‘‘ আমি প্রচলিত ইতিহাসকে মানি না। সিরাজউদ্দৌলাকে মারার জন্য একজনই ছিলেন-ঘসেটি বেগম। ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের পরিবার ব্রিটিশের হাতে নবাব ছিল। ফলে আমরা নবাব পরিবারের তকমা নিয়ে বেঁচে আছি।’’
আরও পড়ুন : ফ্রিজে বা বাইরে এভাবে রাখুন ধনেপাতা! অনেক দিন তাজা ও মুচমুচে থাকবে
রেজা আলি মির্জা আগে চাকরি করলেও এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত। যদিও রাস্তাঘাটে অনেকেই তাঁকে ‘মীরজাফরের বংশধর’ বলেন। তা যদিও তিনি গুরুত্ব দেন না। তাই দুঃখ হয় না বলেই জানান তিনি। রেজা আলি মির্জার কথায়, ‘‘কে সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করেছেন, জানি না। তবে আমি বর্তমানে আজও সিরাজউদ্দৌলাকে প্রণাম করি। তিনি স্বাধীন নবাব ছিলেন একটা সময়ে। আমার বাড়িতে ছবি আছে, মাল্যদান করি।’’
তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে মারা গিয়েছেন সিরাজউদ্দৌলা, সেটা কি কোথাও লেখা আছে? তাঁর অভিযোগ, প্রকৃত ইতিহাস ঢাকা পড়ে গিয়েছে। ২৫০ বছরের পুরনো ইতিহাস মানুষের মন থেকে মোছা যায় না। যদিও মীরজাফরের বংশধরের হলেও মানুষের মধ্যে ছোটে নবাব হিসেবেই বেঁচে থাকতে চাইছেন রেজা আলি মির্জা ।