এ যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো! ভাস্করকে নিয়ে গর্বিত তাঁর অভিভাবক সহ এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি হাওড়ার আন্দুলে রাজ্য পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন এই যুবক। কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়া কীভাবে এত বড় প্রতিযোগিতায় শামিল হতে পারছেন ভাস্কর?
আরও পড়ুনঃ রাস্তার কাজের জন্য একের পর এক গাছে কোপ! জয়নগরে বৃক্ষনিধন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও
advertisement
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। স্কুলেও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণ করতেন। এরপর যোগ ব্যায়ামের প্রতি তাঁর আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। তারপর ফিটনেস সেন্টারে ট্রেনার হিসেবে যোগদান করেন। সারাদিন ফিটনেস সেন্টারে কাটাতে গিয়েই পাওয়ার লিফটিং সম্পর্কে তাঁর ধারণা আসে। এছাড়া টিভি দেখে, সমাজমাধ্যমে এর সম্পর্কে শুনে তিনি পাওয়ার লিফটিংয়ের প্রতি আরও আকর্ষিত হন।
ফিটনেস সেন্টারে ট্রেনিং দেওয়ার পাশাপাশি যতটুকু সময় পান, সেই সময়টুকুতে নিজে শরীরচর্চা করেন ভাস্কর। এর আগে জেলাস্তরীয় পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় আলিপুরদুয়ারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। সেখান থেকেই রাজ্যস্তরের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সাহস পান তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কালচিনি চা বাগান ঘেরা হ্যামিলটনগঞ্জ এলাকার সুভাষপল্লীতে বসবাস ভাস্কর দাসের। তাঁর কথায়, শহরাঞ্চলের মতো গ্রামে পাওয়ার লিফটিং সম্পর্কে সকলের ধারণা কম। তবে এই এলাকাগুলিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ভাস্কর দাস বলেন, “পাওয়ার লিফটিং সম্পর্কে কিছুটা ধারণা হয়েছে। এলাকার কেউ যদি পাওয়ার লিফটিং নিয়ে এগিয়ে চলতে চায় তাহলে আমি তাঁর সাহায্য করব।”





