প্রসঙ্গত, মেসির কলকাতার সফর ঘোষণা হওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় রাজু দার দোকানে দাঁড়িয়ে পকেট পরোটা খাচ্ছেন লিওনেল। ব্যাপক ট্রোলিং এর শিকার হন এই পরোটা বিক্রেতা। যা নজরে পড়ে আয়োজক শতদ্রু দত্তের। তিনি তখন রাজুদার সঙ্গে লিওনেল মেসির সাক্ষাতের মধ্যে দিয়ে সেই ছবিকেই বাস্তবের রূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কলকাতায় মেসির সফরে কথা রেখেছেন শতদ্রু। পাঁচতারা হোটেলেই রাজুদার সঙ্গে দেখা হয়েছে আর্জেন্টিনা এই ফুটবল তারকার। সেই অভিজ্ঞতা যেন এখনও জীবন্ত রাজুর কাছে।
advertisement
রাজু দার কথায়, ‘‘শতদ্রু দত্ত দাদা আমার কাছে ভগবানের মতো। তাঁর জন্যই আজ আমি মেসির সামনে দাঁড়াতে পেরেছি।’’ পকেট পরোটা বিক্রি করতে বেরোলেই বা গুমার স্টেশনে বাজার করতে গেলেই এখন তাঁকে ঘিরে কৌতূহল আর সেই মুহূর্তের অনুভূতি জিজ্ঞাসা করতে চাইছেন সকলের। মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ায় এলাকায় রীতিমতো ‘হিরো’ হয়ে উঠেছেন রাজু দা। রাজপুত্রের মতো দেখতে মেসি, তার গায়ের রং থেকে স্টাইল সবকিছু নিয়েই এখন চর্চা করছেন এই পরোটা বিক্রেতা।
যদিও মেসির কলকাতা সফরের পর আইনি জটিলতায় পড়ে গ্রেফতার হতে হয়েছে সেলিব্রেটি অর্গানাইজার শতদ্রু দত্তকে। তবুও রাজু দার কাছে মেসির সঙ্গে সাক্ষাতের নেপথ্য কারিগর একমাত্র তিনিই। সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে রাজুদা আজও মনে করেন, তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নপূরণের পথ খুলে দিয়েছিলেন শতদ্রু দত্তই। তাই বাংলার মানুষ যতই তাকে নিয়ে বিদ্রুপ করুক রাজুদার কাছে যেন তিনি ভগবান।
Rudra Narayan Roy






