শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনীতে চাঁদকাজীর কথা উল্লেখ রয়েছে। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু এবং চাঁদকাজী কীভাবে এক অপরের সান্নিধ্য লাভ করেন সেই কাহিনীও রয়েছে। তবে এখানকার লোকেদের মত অনুযায়ী, চাঁদকাজীর আসল নাম ছিল ‘মৌলানা সিরাজউদ্দীন’। তিনি ছিলেন বৃহৎ নবদ্বীপ এবং তদানীন্তন মিঞাপুরের প্রশাসনিক প্রধান এবং গৌড়েশ্বর হুসেন শাহের আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক।
advertisement
আরও পড়ুন : গরমে বার বার কেটে যাচ্ছে দুধ? এ বার ফ্রিজ ছাড়াই টাটকা রাখুন দুধ! রইল ঘরোয়া টোটকা
চাঁদকাজী দেহত্যাগ করার পর নবদ্বীপে তাঁর সমাধি স্থাপন করা হয়। তাঁর সমাধির উপরে অবস্থিত গোলকচাঁপা গাছটি ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এই গাছটি অতীতের এই সব ঘটনার সাক্ষী। মায়াপুর বামনপুকুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ আমাদের জানান, “নবদ্বীপে বিভিন্ন পর্যটক ভ্রমণে এসে মায়াপুর ইসকন মন্দির ও নিমাইয়ের জন্মস্থানের পাশাপাশি এই চাঁদ কাজীর সমাধিও দর্শন করতে আসেন। চাঁদ কাজের সমাধির এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন বল্লাল সেনের ঢিপি। ঐতিহ্যবাহী এই চাঁদ কাজীর সমাধিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলের”।