প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর পরিস্থিতি আংশিক শান্ত হলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সেখান থেকে রওনা দেয়। মৃত যুবকের ১২ দিনের সন্তান সহ স্ত্রী ও মা রয়েছে। রাস্তা পার হওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ (৩৬) পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে আনার সময়ও তাঁর দুই চোখই ছিল। পরদিন পোস্টমর্টেমের পর দেহ নিতে গেলে তাঁরা দেখেন, এক চোখ নেই। অভিযোগ ওঠে- মর্গে দেহ রাখার পরই চোখটি নিখোঁজ হয়েছে। হাসপাতালের তরফে পরিবারকে জানানো হয়, ইঁদুরে চোখটি নিয়ে গিয়েছে। এই ব্যাখ্যা ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়। ঠিক সে সময় বনগাঁ থেকে সভা সেরে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসাত বনমালিপুর হাসপাতাল গেটের সামনে পৌঁছতেই বিক্ষোভকারীরা তাঁর গাড়ি আটকে অভিযোগ জানাতে থাকেন।
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলেই মাইকে ঘোষণা করেন, সঠিক তদন্ত হবে। যদি অপরাধ সত্যি প্রমাণিত হয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে মৃতের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্তের স্বার্থে দেহ আপাতত মর্গেই রাখা হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বারাসত মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি অভিজিৎ সাহা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখন তদন্ত কমিটি কি রিপোর্ট দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
Rudra Narayan Roy





