মালদার ইংরেজবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা তাপস মণ্ডল। তিনি জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপক। রোজকার মতো গত সোমবার মালদা টাউন স্টেশন থেকে থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে এনজেপি স্টেশন যাচ্ছিলেন তিনি। অধ্যাপক এনজেপি স্টেশনে নেমে কলেজের উদ্দেশে যাওয়ার আগেই নিখোঁজ হয়ে যান। চিন্তায় পড়ে পরিবার। মালদার ইংরেজবাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। অন্যদিকে অধ্যাপকের স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। পরিবারের লোক দ্রুত সেকথা থানায় জানায়। কিন্তু পরে ওই নম্বরে ফোন করলে সুইচ অফ পাওয়া যায়।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণকারীরা অপহৃত অধ্যাপকের স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এবং জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অপহৃত অধ্যাপককে উদ্ধারে তাঁরা সচেষ্ট হন। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ও অন্যান্য সূত্র মারফত মালদা ও জলপাইগুড়ি পুলিশের যৌথ বাহিনী জানতে পারে কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকায় একটি হোটেলে অপহৃত অধ্যাপক তাপস মণ্ডলকে রাখা হয়েছে। পুলিশের ওই যৌথবাহিনী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জুনপুট কোস্টাল থানার পুলিশকে নিয়ে বুধবার রাতে ওই হোটেল হানা দেয় পুলিশ। উদ্ধার হন অপহৃত অধ্যাপক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জুনপুট থানা সূত্রে জানা যায়, মালদা ইংরেজবাজার ও জলপাইগুড়ি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এলাকার একটি হোটেলে এক অধ্যাপককে অপহরণ করে রেখেছেন দুষ্কৃতীরা। ওই হোটেলে অভিযান চালানো হয়। অধ্যাপককে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার ৫ পাঁচ দুষ্কৃতী। ওই ৫ জনের নাম কার্তিক গুছাইত, সেক রিয়াজ, সেক কালু, নিজাম উদ্দিন ও সেক সুরাজ। সবাই উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁদের বৃহস্পতিবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের মালদা ও জলপাইগুড়ি পুলিশের যৌথ বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে ওই হোটেলের কর্মচারী ও মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া প্রতিটি পর্যটকের তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য হোটেল মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে।