পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার চাঁইপাটের দুর্গাপুজো এবছর ৮০ বছরে পদার্পণ করবে। বাঁশের কাঠামো ইতিমধ্যেই রেডি। তাদের এবছরের থিম মানত মন্দির। বাজেট প্রায় ২৫ লাখ। চাঁইপাট দুর্গোৎসব কমিটির পুজোতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে। কর্মকর্তারা আশাবাদী এবছরও উপচে পড়বে ভিড়। পরপর বন্যা, বিপর্যয় কেউই রুখতে পারেনি ঘটালের পুজোর আনন্দ। দুঃখ ভুলে এখন হাড়ভাঙা পরিশ্রমে মগ্ন সবাই। মা আসছে। তাই তাঁর পুজোর ত্রুটি রাখতে চাননা কেউই।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বড় চমক! এবার ২৩ ফুটের বিরাট বিশ্বকর্মা, সঙ্গে আবার ১৫ দিনের মিলন মেলা, কোথায় জানুন
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা জুড়ে যেমন বনেদি বাড়ির পুজোর অভাব নেই ঠিক তেমন মহকুমা জুড়ে প্রচুর ক্লাব কমিটির থিমের পুজো হয়। অনন্য সুন্দর সব বার্তা নিয়ে থিম সাজাতে ব্যস্ত এখন পুজো কমিটিগুলো। তারই একঝলক ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। পুজো কমিটির সম্পাদক জানান, এবছর তাদের পুজো ৮০ তম বর্ষে পদার্পন করবে। থিম সহ পুজোর বাজেট প্রায় ২৫ লক্ষ। থিমের নাম মানত মন্দির। তবে শুধু দুর্গা দেবীর আরধনায় না। সারাবছর চলে তাদের সমাজ সেবা মূলক কর্মকান্ড। কখনও রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান শিবির, ক্যানসার রোগীদের সাধ্যমত সহযোগিতা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আবার কখনও দেশের বিপর্যয়ে রিলিফ ফান্ডে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া সবই করেন তারা। পুজো কমিটি আশাবাদী প্রতি বছর এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। যদি এবছর আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলেও জনঢল নামবে এবং সুশৃঙ্খলভাবে সকলকে প্রতিমা দর্শন করাতে তারা বদ্ধ পরিকর। তাই সকল রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীকে ঘাটালের পুজো দেখতে আহ্বান জানান তারা। পুজো মানেই একরাশ আনন্দ। পুজো মানেই শিউলি ফুলের গন্ধ। আর সেই পুজোতেই বাঙালি এক হয় জাত ভেদাভেদ ভুলে। আপনজন হয়ে ওঠে সবাই সবার। আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা সেই অপেক্ষার দিন গুনছে এখন আপামর বাঙালি।