আর তারই প্রতিবাদে আজ ঝাড়গ্রাম স্টেশনের বাইরে চলল বিক্ষোভ। বামেদের শ্রমিক সংগঠন সিটু-র তরফে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। তবে শুধু রাজনৈতিক নয়, সাধারণ মানুষও এই বঞ্চনার প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন। ঝাড়গ্রাম মূলত পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকা। তাই এখানে ট্রেন চালু হলে বহু পর্যটক আসতে পারেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তার বদলে এখানে লোকাল ট্রেন চালুই করা হল না এখনও পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যে ট্র্যাকে নামল লোকাল ট্রেন, দিঘায় সারপ্রাইজ, পুরুলিয়ায় দুর্ভোগ...
অথচ ঝাড়গ্রামে করোনার প্রকোপ অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। নেই বললেই চলে। তার পরও লোকাল ট্রেন চালানো হল না এখানে। একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে বারবার জঙ্গলমহলকেই কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: রাজীব যেতেই বিস্ফোরক ট্যুইট দিলীপ ঘোষের, 'দালাল' কে? কুণালের মুখে শুভেন্দুর নাম!
অপরদিকে, লকডাউনে সব ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু সোমবার থেকে হল্ট স্টেশনে আর নির্ধারিত ট্রেন দাঁড়াচ্ছে না। ইসলামপাড়া হল্ট স্টেশনে সব ট্রেন দাঁড়ানোর দাবিতে এবার সেই স্টেশনেও অবরোধ শুরু হয়েছে। কাটোয়া শাখার ত্রিবেণী ও বাঁশবেড়িয়ার মাঝে এই হল্ট স্টেশন। অবরোধের কারণে আপ-ডাউন শাখার ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে। সকাল ৮টার পর থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন: 'ঘরে' ফিরতে কলকাতার বদলে আগরতলা কেন? 'রহস্য' ভাঙলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়!
এদিকে, দিঘার ট্যুরিস্টরা যেন সারপ্রাইজ গিফট পেলেন লোকাল ট্রেন চালুর দিনে। দিঘা বেড়ানো শেষে লোকাল ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরার আচমকা সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি পর্যটকরা। আবার রেলের ভুলে লোকাল ট্রেনে চেপে চরম সমস্যায় পড়েছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে বাংলায়। রবিবার সকালে আসানসোল - পুরুলিয়া রাঁচি লোকাল ট্রেনে বেরো স্টেশন থেকে টিকিট কেটে কয়েকজন যাত্রী ঝালদা স্টেশন যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে পড়েন। তবে ট্রেন পুরুলিয়া স্টেশনে আসার পর তাঁরা জানতে পারেন, প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ঝালদা যাচ্ছে না। যে ট্রেনটি ঝালদা যাচ্ছে না, সেই ট্রেনের টিকিট কী ভাবে দিল রেল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পরে পুরুলিয়া স্টেশন মাস্টারকে অভিযোগ জানান যাত্রীরা।