এখন সব জিনিসের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে বহু প্রযুক্তির বদল এসেছে। প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্তে এখন আর শস্যবীজের মান পরীক্ষা খুব একটা কঠিন কাজ না। উন্নত প্রজাতির উচ্চফলনশীল বীজ এখন বাজারে ভর্তি। তবু ঐতিহ্য যে পুরনো বইয়ের মতন। পাতা হলদে হয়ে গেলেও বুকে আগলে রাখতে হয়। আজও পর্যন্ত বীরভূমের লাভপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় সেই ছবির দেখা মেলে।
advertisement
উন্নত মানের শস্য কামনায় মূলত এই ব্রত করা হয় বলে, ভাজুইকে শশপাতার ব্রতও বলা হয়। শশ এর মানে শস্য আর পাতা এর মানে বিছানো। পাত্রে শস্য বিছিয়ে অঙ্কুরোদ্গম ঘটানোই এই ব্রতের আসল লক্ষ্য। ভাদ্র মাসের শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ইন্দধ্বজ উৎসব বা ইন্দপুজোর পরের দিন হয় ভাজু ব্রতের সূচনা হয়। মূলত বাচ্চা মেয়েরাই ওই ব্রত পালন করে থাকে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে।
তবে কোথাও কোথাও গ্রামাঞ্চলে বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেও ওই ব্রত পালনের চল রয়েছে। বড় মেয়েদের ব্রত হলে, বলে বড় ভাজুই, ছোটদের ব্রত হলে বলা হয়, ছোট ভাজুই। ভাজুই শস্যদেবী, তার কোনও মূর্তি হয় না। এক সময়ে গ্রামের মাঝে তালপাতা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী কোনও চালাঘরে ভাজুই পাতা হতো। একটি পাড়া বা গ্রামের বাচ্চা মেয়েরা যৌথ ভাবে ওই ব্রত পালনের আয়োজন করত। উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন ধরণের কলাই, সন, গম, যব, ধান রাখা হত। আর থাকত একটি পাত্র।