অবাক ও হতচকিত জয়িতা পড়ে যান চরম উদ্বেগে। মালপত্র থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ নথি—সবই তো সেই ব্যাগে! পরিস্থিতির কথা জানিয়ে তিনি যোগাযোগ করেন স্বামী অনুপম গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অনুপম পুরো ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি নজরে আসতেই দ্রুত এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়। চেয়ে নেওয়া হয় কিছুটা সময়ও।
advertisement
কিন্তু এর পরেই ঘটে আরও এক অদ্ভুত ঘটনা—কোনও অজ্ঞাত কারণে ব্লক হয়ে যায় অনুপমের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। ফলে যোগাযোগের মাধ্যম আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এই ঘটনা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর হতাশা বাড়তে থাকে। এরই মাঝে পরের দিন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি লাগেজ পাঠান হয় জয়িতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার বাড়িতে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে গিয়েই ফের চমকে যান তিনি—ব্যাগটি তাঁর নয়, অন্য কোনও যাত্রীর! বাধ্য হয়ে সেটি ফেরত পাঠাতে হয়।
এখনও পর্যন্ত তাঁর নিজের লাগেজের কোনও হদিশ মেলেনি। ফলে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। স্বামী অনুপম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকায় কিছুটা চেষ্টা করা গিয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে বোঝা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি সত্যিই হতাশাজনক।” এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনও স্থায়ী সমাধান না পাওয়ায় চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন বাঁকুড়ার এই শিক্ষিকা।
