আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ৩৮,০০০ কিমি…! ধেয়ে আসছে ‘মহাপ্রলয়’! ধ্বংস হবে বহু শহর…ভারতও ‘গুঁড়ো’ হয়ে যাবে?
এখনও কাছে পিঠে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের আবদার রাখতে পৌঁছে যান তিনি। শীতের মরশুমে শারীরিকভাবে কিছু অসুস্থতা থাকলেও, এখনো নিয়মিত চলে সংগীত চর্চা। গঙ্গার অপর প্রান্ত চুঁচুড়ায় জন্মস্থান হলেও বিয়ের পর থেকেই হালিশহরের শ্বশুরবাড়িতেই পাড়া-প্রতিবেশীদের উৎসাহে প্রথম গান গাওয়া শুরু। সেই থেকেই পাড়ার পূজো হোক বা কোন অনুষ্ঠান ডাক পড়ত ভারতি ব্যানার্জির।
advertisement
পরিবারের লোকজন ও তার এই গানের চর্চা কে উৎসাহ যোগান। তবে কোনরকম তালিম নয়, টেপ রেকর্ডারে ক্যাসেটে গান বাজতো। আর সেই গান শুনে শুনেই মুখস্থ করেছেন বছর ৭৮ এর ভারতি ব্যানার্জি। তার প্রিয় সংগীত শিল্পীও অবশ্যই লতামঙ্গেসকারই। তবে সঙ্গীত সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে কখনোই নিজের তুলনা টানার দৃষ্টতা করতে চান না তিনি। একেবারেই মাটির মানুষ, সারাদিন পলেস্তারা খসেপড়া বাড়ির একটি নির্দিষ্ট ঘরেই নিজের মতো করে জীবন কাটাচ্ছেন এই প্রতিভাবান সংগীত প্রেমী ভারতী ঘোষ। বহু মানুষ এখন তার গান শুনতে পৌছে যান বাড়িতে।
কখনও মিউজিকের ট্র্যাকে, কখনো খালি গলায় তার গান সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় বড় সংগীত শিল্পীদেরও টেক্কা দিচ্ছে ভিউতে। মঙ্গলও দ্বীপ জ্বেলে, হাজার তারার আলোয় ঘেরা, বা হিন্দি রাম তেরি গঙ্গা মেইলি বিখ্যাত গানও তার গলায় শুনে মুগ্ধ হন শ্রোতারা। এই বয়সেও বৃদ্ধার এমন গানের গলা কে তাই কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটাগরিকরাও।
Rudra Narayan Roy