TRENDING:

শুরু হচ্ছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা, কেন দেওয়া হয় এই নাম, জানেন?

Last Updated:

কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় একাদশী তিথিতে রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে বসে। ২০০ বছরের পুরনো এই মেলায় ১২টি কৃষ্ণমূর্তি ও বড় নারায়ণ বিগ্রহ পুজো করা হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কৃষ্ণনগর: শুরু হচ্ছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় একাদশী তিথিতে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে এই মেলা বসে। কারও কারোর মতে, দোলের ১২ দিন পরে এই মেলা বসে।
বারো দোলের মেলা
বারো দোলের মেলা
advertisement

চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের থেকে কি কেড়ে নেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিকের খাতা? বড় সিদ্ধান্ত সংসদের!

আবার অন্য মত অনুযায়ী একসময়ে নদিয়ার মহারাজ বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি কৃষ্ণমুর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেই সমস্ত বিগ্রহই একসঙ্গে এনে রাজবাড়িতে মণ্ডপ করে কাঠের সিংহাসনে সাজিয়ে রাখা হয়। সাধারন মানুষও এই সময় এই বিগ্রহ দর্শন করতে পারেন। তবে বারো দোলের মেলায় শুধু এই ১২ টি বিগ্রহই থাকে না। থাকে রাজবাড়ির বড় নারায়ণ বিগ্রহ। এই বিগ্রহগুলি নদিয়া ছাড়াও বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।

advertisement

সরকারি চাকরি করেন তরুণী, প্রেমে পড়ে বিয়ে করলেন ‘বেকার’ যুবককে! বিয়ের পর যা হল, বিশ্বাস করতে পারবেন না!

গরমে সাপের উপদ্রব বাড়ছে! ঘরে সাপ ঢুকলে ভয় না পেয়ে কী করবেন? কোন গন্ধে জব্দ সাপ? জেনে নিন

তবে এখন আর সব বিগ্রহ রাজবাড়িতে আসে না । বারোদোলে এই সমস্ত বিগ্রহকে পুজো করা হয় । একমাস পরে বিগ্রহগুলি ফের তাদের আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় । এই তিন দিন বিগ্রহগুলিকে তিন রকম পোশাক পরানো হয় । প্রথম দিন পরানো হয় রাজবেশ, দ্বিতীয় দিন ফুলবেশ এবং তৃতীয় তথা শেষ দিন পড়ানো হয় রাখালবেশ ।

advertisement

কথিত আছে, সেই সময়ে রাজপরিবারের মহিলাদের পক্ষে কোনও মেলা দেখা সম্ভব ছিল না । তাদের সেই সুযোগ করে দিতেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে এই মেলার প্রবর্তন করেন । অন্যমতে, নদিয়া রাজ গিরীশচন্দ্র রাজমহিষীর অনুরোধে এই মেলার প্রবর্তন করেন । এই মেলাকে ঘিরে আজও মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই।

প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় করেন এই মেলায়। নানা মনোহারি দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান এবং নানা মনোরঞ্জনের দোকানীরাও এই মেলায় হাজির হন তাদের পসরা সাজিয়ে। রাজবাড়ির একটা অংশ এই সময় খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য।

advertisement

এই মাছ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে! নিষিদ্ধ হয়েও চলছে বিক্রি, সতর্ক করলেন গবেষকরা! আপনিও খাচ্ছেন না তো?

দোল উৎসব পার হয়ে যাওয়ার পরেও ফের এই বারো দোলকে ঘিরে উৎসবে মাতেন মানুষ। আর সেই উৎসবে শুধু কৃষ্ণনগর নয় আশপাশের এলাকার মানুষও যোগ দেন। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই মেলার সঙ্গে যে শুধু মানুষের মনোরঞ্জন আর উৎসবের আনন্দ জড়িয়ে আছে তাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে নদিয়ার রাজপরিবারের ঐতিহ্যও।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Mainak Debnath

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শুরু হচ্ছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা, কেন দেওয়া হয় এই নাম, জানেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল