সরকারি চাকরি করেন তরুণী, প্রেমে পড়ে বিয়ে করলেন 'বেকার' যুবককে! বিয়ের পর যা হল, বিশ্বাস করতে পারবেন না!

Last Updated:
২০২০ সালে প্রেম করে আশিসকে বিয়ে করেন প্রীতি। সেই বছরই তিনি সরকারি চাকরি পান। কিন্তু স্বামী আশিস ছিলেন বেকার। পরিবার জানায়, আশিস প্রায়ই প্রীতিকে মারধর করতেন, টাকার জন্য চাপ দিতেন।
1/10
গভীর রাত। হঠাৎই ফোন বেজে উঠল। ওপার থেকে ভাঙা গলায় কেউ বলল, “প্রীতি আর নেই…” বাবার পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেল। কয়েক ঘণ্টা আগেই তো ফোনে কথা হয়েছে মেয়ের সঙ্গে, হাসতে হাসতে বলেছিল রান্না করছে। কী এমন হল হঠাৎ? আত্মহত্যা, না কি এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র?
গভীর রাত। হঠাৎই ফোন বেজে উঠল। ওপার থেকে ভাঙা গলায় কেউ বলল, “প্রীতি আর নেই…” বাবার পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেল। কয়েক ঘণ্টা আগেই তো ফোনে কথা হয়েছে মেয়ের সঙ্গে, হাসতে হাসতে বলেছিল রান্না করছে। কী এমন হল হঠাৎ? আত্মহত্যা, না কি এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র?
advertisement
2/10
Generated image ঘটনাটি যেন এক গভীর রহস্যে মোড়া। প্রেম করে বিয়ে, সরকারি চাকরি, সংসার—সব কিছু থাকার পরেও কেন এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি? একটি মেয়ে, যে স্বপ্ন দেখেছিল ভালবাসার, সে কেন আজ একটি গাড়ির ভিতর নিথর হয়ে পড়ে রইল? আর কেনই বা তাঁর শরীরে রয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার চিহ্ন?
ঘটনাটি যেন এক গভীর রহস্যে মোড়া। প্রেম করে বিয়ে, সরকারি চাকরি, সংসার—সব কিছু থাকার পরেও কেন এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি? একটি মেয়ে, যে স্বপ্ন দেখেছিল ভালবাসার, সে কেন আজ একটি গাড়ির ভিতর নিথর হয়ে পড়ে রইল? আর কেনই বা তাঁর শরীরে রয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার চিহ্ন?
advertisement
3/10
Generated image প্রীতি নামে ২৪ বছরের সেই তরুণীর প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। কিছুদিন পরেই তিনি সরকারি চাকরি পান। পিডব্লুডি-র (জনকল্যাণ দফতর) কেরানি হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন দাদরি রেস্ট হাউসে। কিন্তু সেই প্রেম আর স্বপ্নের বিয়ে শেষ পর্যন্ত যেন হয়ে উঠল মৃত্যুর কারণ।
প্রীতি নামে ২৪ বছরের সেই তরুণীর প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। কিছুদিন পরেই তিনি সরকারি চাকরি পান। পিডব্লুডি-র (জনকল্যাণ দফতর) কেরানি হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন দাদরি রেস্ট হাউসে। কিন্তু সেই প্রেম আর স্বপ্নের বিয়ে শেষ পর্যন্ত যেন হয়ে উঠল মৃত্যুর কারণ।
advertisement
4/10
Generated image প্রীতির বাবা জগবীরের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, মেয়ের পায়ের আঙুল ও বুড়ো আঙুল পুড়ে গিয়েছে, যা দেখে তিনি নিশ্চিত যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে খুন করা হয়েছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছে আত্মহত্যার।
প্রীতির বাবা জগবীরের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, মেয়ের পায়ের আঙুল ও বুড়ো আঙুল পুড়ে গিয়েছে, যা দেখে তিনি নিশ্চিত যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে খুন করা হয়েছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছে আত্মহত্যার।
advertisement
5/10
Generated image জগবীর জানিয়েছেন, রাত ১০.৪৫ নাগাদ ফোনে তাঁকে বলা হয়, প্রীতিকে আত্মহত্যার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত সেখানে পৌঁছলে দেখেন, তাঁর মেয়ের দেহটি গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে, এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। পরে গাড়ির কাচ ভেঙে দেহটি বের করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
জগবীর জানিয়েছেন, রাত ১০.৪৫ নাগাদ ফোনে তাঁকে বলা হয়, প্রীতিকে আত্মহত্যার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত সেখানে পৌঁছলে দেখেন, তাঁর মেয়ের দেহটি গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে, এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। পরে গাড়ির কাচ ভেঙে দেহটি বের করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
advertisement
6/10
Generated image বর্তমানে প্রীতির দেহ রাখা হয়েছে চারখি দাদরি সিভিল হাসপাতালে।অভিযোগপত্রে কারা কারা? প্রীতির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিস, দেবর দীপক, আশিসের মামা সন্দীপ ও মাসি প্রমিলা-র বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বর্তমানে প্রীতির দেহ রাখা হয়েছে চারখি দাদরি সিভিল হাসপাতালে। অভিযোগপত্রে কারা কারা? প্রীতির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিস, দেবর দীপক, আশিসের মামা সন্দীপ ও মাসি প্রমিলা-র বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
advertisement
7/10
Generated image বিয়ের পরেই নেমে আসে অন্ধকার। ২০২০ সালে প্রেম করে আশিসের সঙ্গে বিয়ে করেন প্রীতি। সেই বছরই তিনি সরকারি চাকরি পান। কিন্তু স্বামী আশিস ছিলেন বেকার। পরিবার জানায়, আশিস প্রায়ই প্রীতিকে মারধর করতেন, টাকার জন্য চাপ দিতেন।
বিয়ের পরেই নেমে আসে অন্ধকার। ২০২০ সালে প্রেম করে আশিসের সঙ্গে বিয়ে করেন প্রীতি। সেই বছরই তিনি সরকারি চাকরি পান। কিন্তু স্বামী আশিস ছিলেন বেকার। পরিবার জানায়, আশিস প্রায়ই প্রীতিকে মারধর করতেন, টাকার জন্য চাপ দিতেন।
advertisement
8/10
Generated image খবর পাওয়ার পর শুক্রবার দাদরি সিভিল হাসপাতালে পৌঁছন DSP ধীরজ কুমার, সিটি থানার SHO সানি কুমার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল। তাঁরা ময়নাতদন্ত কক্ষ এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালান।
খবর পাওয়ার পর শুক্রবার দাদরি সিভিল হাসপাতালে পৌঁছন DSP ধীরজ কুমার, সিটি থানার SHO সানি কুমার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল। তাঁরা ময়নাতদন্ত কক্ষ এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালান।
advertisement
9/10
Generated image সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী?প্রীতির বাবার কথায়, তাঁর মেয়ের দুই সন্তান—তিন বছরের কন্যা ও দেড় বছরের পুত্র। এখন সেই দুই নিষ্পাপ শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। ময়নাতদন্ত কক্ষের বাইরে কেঁদে ভেঙে পড়েন প্রীতির বাবা জগবীর। তিনি পুলিশকে ন্যায়বিচারের জন্য আর্জি জানান—“আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।” এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চারখি দাদরি ও তার আশপাশে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী? প্রীতির বাবার কথায়, তাঁর মেয়ের দুই সন্তান—তিন বছরের কন্যা ও দেড় বছরের পুত্র। এখন সেই দুই নিষ্পাপ শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। ময়নাতদন্ত কক্ষের বাইরে কেঁদে ভেঙে পড়েন প্রীতির বাবা জগবীর।
advertisement
10/10
তিনি পুলিশকে ন্যায়বিচারের জন্য আর্জি জানান—“আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।” এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চারখি দাদরি ও তার আশপাশে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি পুলিশকে ন্যায়বিচারের জন্য আর্জি জানান—“আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।” এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চারখি দাদরি ও তার আশপাশে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
advertisement
advertisement
advertisement