শহরে লাখ লাখ দর্শনার্থী প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শনে পথে নামবেন। সেই ভিড় সামাল দিতেই পুলিশের নির্দেশিকা। তবে মন্ডপ সংলগ্ন বা যানজটময় রাস্তা ছাড়া অন্যান্য রাস্তা হয়ে টোটো বা ই- রিকশা চলবে।
পুজোয় অগণিত দর্শনার্থী পথে নামেন, ফলে যানজটের আশঙ্কা থাকে। সেই দিকে গুরুত্ব রেখে গোটা শহর জুড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় পুজোর কটা দিন। হাওড়া শহরে ১৪৮৬ টি পার্মিটেড পুজো রয়েছে। দর্শনার্থীদের বেশি আকর্ষণ, সেই সব মণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচল নিষিদ্ধ বা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
advertisement
পুজোর কটা দিন শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি বছরের মতো এবারও দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত টোটো ও ই-রিকশা এবং অন্যান্য যাত্রীবাহী যান বন্ধ থাকছে। অন্যান্য বছরের মতই নির্দেশিকা মেনে শহরের সরু, বা গলির রাস্তা এবং কম যানজট মণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তা ছাড়া বেশ কিছু টানে টোটো চলতে পারবে।
পুজোর দিনকয়েক আগে থেকে মূল পর্বের ঠাকুর দেখা শুরুর আগে টোটো, ই-রিকশা অটো চালকরা ভাল উপার্জন করে থাকেন প্রতি বছর। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা তাঁদের। তৃতীয়ার দিনেও পর্যাপ্ত যাত্রী নেই রাস্তায়। অন্য বছর পুজো কেনাকাটায় যে পরিমাণ মানুষের সমাগম থাকে তা এবার অনেকটাই কম। ফলে পুজোর আগে সেভাবে উপার্জন নেই।
আরও পড়ুন- পুজোর মণ্ডপে মহাভারতের দরবার! বাঙালি শিল্পীদের হাতের জাদুতে পৌঁছে যাবেন পাণ্ডব-কৌরবের যুগে
হাওড়ার স্থানীয় কয়েকজন চালক জানালেন, পুজোর আগে একটু বেশি উপার্জন হত, তাতেই ছেলেমেয়েদের পোশাক, ঠাকুর দেখার খরচ হত। এবার পুজোর বাজার একদম নেই। এর পর শহরের রাস্তায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়লেই টোটো ই-রিকশা চলাচল বন্ধ হয়, তখন শহরের অলি-গলি টোটো চালিয়ে উপার্জন আরও কম। রাতে নিষেধাজ্ঞা উঠলে কিছুটা আয় হয় পুজোয়, তবে সবার পক্ষে রাতে বেড়ানো সম্ভব হয় না। ফলে এবার দুর্গা পুজোয় হাওড়া শহরের অধিকাংশ টোটো অটো চালক পরিবারের সেভাবে খুশি নেই বলেই জানাচ্ছেন চালকরা।