সূত্রের খবর, চূড়ান্ত তালিকা তৈরির পরেও জেলায় একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে এমন অনেকের নাম থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ। খন্ডঘোষ ব্লকেই এমন ৬৯টি বাড়ির হদিশ মিলেছে যাদের প্রত্যেকের দোতলা ও একতলা করে পাকা বাড়ি রয়েছে। অনেকেই আর্থিকভাবেও স্বচ্ছল। খন্ডঘোষ ব্লকের আবাস যোজনার টিম গোটা বিষয়টি জানার পরে নিজেরা গোপনে সার্ভে করেন। জানা গিয়েছে বিডিও নিজেও গোপনে তদন্ত করেছেন। এরপরেই এক মুহূর্ত দেরি না করে অনুমোদন হয়ে যাবার পরেও এই ৬৯ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ও তাদের টাকা ফেরত পাঠানোর কাজ করা হয়েছে ব্লক অফিস থেকে। টাকার অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পরেও তা ফিরিয়ে দিয়ে রাজ্যের মধ্যে কার্যত নজির সৃষ্টি করেছেন খন্ডঘোষ ব্লকের আধিকারিক থেকে অনান্য কর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : ২৫ লক্ষ টাকার বেশি বিকিকিনি, সবলা মেলায় রেকর্ড বিক্রিতে উচ্ছ্বসিত হস্তশিল্পীরা
খন্ডঘোষের নারিচা গ্রামে গোপীকৃষ্ণ ঘোষের দোতলা বাড়ি। তিনি কিভাবে আবাস যোজনায় ঘর পেলেন সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রিফা ঘোষ বলেন, ‘আমরা খুবই গরিব মানুষ। তৃণমূলের লোকেদের ধরেই আমরা ঘর পেয়েছি। এখন কেন সেটাও কেড়ে নিচ্ছেন আপনারা।’ নিজের দোতলা বাড়ির কথা উঠতেই তিনি বলেন, ‘অনেক ধারদেনা করে বাড়িটা করেছি, টাকা পেলে সেই ধার শোধ করব।’
আরও পড়ুন : ৬০ হাজার টাকার জ্যাকেট না চলন্ত বাঁধাকপি! নামী সংস্থার পোশাক নিয়ে হাসির রোল
খন্ডঘোষ ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ কুমার বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করেছি সরকারি নিয়মে। বাকি যদি কিছু জানার থাকে সেটা জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা জানাবেন। রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, আমরা এখনও বলছি, " স্বচ্ছতা মেনেই কাজ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে জেলার প্রতিটি ব্লকে। খন্ডঘোষ প্রথম যেটা কাজ করেছে সেটা সব ব্লক থেকেই হবে। অনুমোদন হওয়া তালিকাও সার্ভে করবে বিডিওরা।"