থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ‘মুক্তি’। যেখানে আধুনিকতার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যবাহী উপকরণগুলিকে নতুনভাবে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। একতারা, লাটাই, কুলো, লণ্ঠনসহ নানান প্রাচীন সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। চারদিকে মাটির কারুকার্য যেন অতীতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। প্রতিমা আনা হয়েছে বাদুড়িয়ার তারা বুনিয়া থেকে।
আরও পড়ুন : ধ্বংসলীলার পর প্রকৃতির উপহার, এই জিনিস ভরিয়ে দিচ্ছে ঝুলি! উত্তরের মৎস্যজীবীরা পেয়েছেন ‘লটারি’
advertisement
মায়ের সঙ্গে ডাকিনী ও যোগিনীর উপস্থিতি এই পুজোকে যেন অন্য মাত্রা দিয়েছে। উদ্যোক্তা গোপাল মুখার্জি ও গৌতম মজুমদাররা জানান, অতীতে কালী প্রতিমার সঙ্গে ডাকিনী-যোগিনীর দেখা মিলত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে এই দুই চরিত্র। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই এ বছর মৃৎশিল্পীর হাতে তৈরি করা হয়েছে ডাকিনী-যোগিনী। প্রবীণ সদস্যরাও জানান, শৈশবে তারা এই রূপ দেখলেও এখন প্রায় বিলুপ্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই অতীতকে ফিরিয়ে আনতে, আর ঐতিহ্যের মূল্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। দর্শনার্থীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে প্রবল আগ্রহ- অনেকে ডাকিনী ও যোগিনীর সঙ্গে তুলছেন সেলফিও। ছোটরা মুগ্ধ হয়ে দেখছে মায়ের দুই সঙ্গিনীকে। উদ্যোক্তাদের মতে, এই থিমের মাধ্যমে তারা জানাতে চেয়েছেন – আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েও বাংলার ঐতিহ্য যেন ভুলে না যায় কেউ। মণ্ডপ দর্শনে খুশি সব বয়সের মানুষই।





