প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। আগে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর বা অন্য কোনও স্থলবন্দরে ভারতীয় টাকায় যে পরিমাণ বাংলাদেশের অর্থ পাওয়া যেত এখন সে পরিমাণ আর পাওয়া যায় না। এর ফলে যে সমস্ত বাংলাদেশি ভারতে আসে ডাক্তার বা এমার্জেন্সি ভিসাতে তাঁরা চরম বিপাকে পড়ছে। পাশাপাশি ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রাক আর বাংলাদেশে তেমন প্রবেশ করছে না।
advertisement
ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন আর বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চাইছে না। আগে যে পরিমাণ মুনাফা অর্জন হত বাংলাদেশে ব্যবসা করতে এখন আর সেই পরিমাণ মুনাফা অর্জন হচ্ছে না। আদা, পেঁয়াজ, রসুন, আলু, কাঁচালঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, বিভিন্ন জীবন দায়ী ঔষধ-সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশে যেত। কিন্তু সম্প্রতি এখন আর ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে এই সমস্ত জিনিসপত্র পাঠাচ্ছে না।
তবে বাংলাদেশের এই অবস্থার কারণে শুধু বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। আগে প্রতিদিন ঘোজাডাঙ্গা স্থলে বন্দর দিয়ে ১০০০ থেকে ১২০০ মানুষ যাতায়াত করত তার ফলে এই ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে টাকা এক্সচেঞ্জের দোকান মালিকরা বেশি মুনাফা লাভ করত।
কিন্তু এখন আগের মত আর যাতায়াত হচ্ছে না দুই দেশের মধ্যে। এখন প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ জন মানুষ যাতায়াত করছে। এর ফলে টাকা এক্সচেঞ্জ না হওয়ার জন্য চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দোকানদারদের। এর পাশাপাশি যে সমস্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ব্যবসা করত এখন তাঁরা আর ব্যবসা করছে না। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা একদিকে যেমন সমস্যার মধ্যে পড়ছেন সেই সঙ্গে সঙ্গে ট্রাক চালক থেকে খালাসীরাও উপার্জনহীন হয়ে পড়ছেন। এই সীমান্ত দিয়ে প্রচুর ট্রাক ও সাধারণ মানুষেরা যাতায়াত করত এখন তা আগের মত করে না তার ফলে এই ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের হোটেল মালিকরাও চরম বিপাকে পড়েছে।
জুলফিকার মোল্লা





