দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর এই নামকে বহন করে চলেছিল শতবর্ষ প্রাচীন এই স্টেশনটি। তবে কেন এমন নাম? নেপথ্যে রহস্যটা কী? তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক দশক আগে এই স্টেশনের নাম পরিবর্তন হয়েছে। পুরনো সেই স্টেশন ভেঙে হয়েছে নতুন স্টেশন, তবুও যেন ইতিহাস বহন করে চলেছে স্টেশনটি।
ব্রিটিশ সময়কালে দক্ষিণ ভারতগামী রেলপথ বিছানো হয়। মানুষের যাতায়াতের উন্নতিতে চলে যাত্রীবাহী ট্রেন। যখন ভারতবর্ষ উত্তাল স্বাধীনতা সংগ্রামে তখন শুধু দেশ শাসন করা নয়, একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছিল ব্রিটিশরা, যার একটি রেলপথ তৈরি। বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে তত্ত্বাবধানে এই এলাকায় রেলপথ বিছানো হয়।
advertisement
বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার অধীন এই স্টেশন। নাম বেলদা। তবে আজ থেকে প্রায় শতাধিক বছর পিছনে গেলে দেখা যাবে এই স্টেশনের নামকরণ হয় কাঁথির নামে। স্টেশনের নাম দেওয়া হয় কন্টাই রোড স্টেশন। দীর্ঘ প্রায় ১০০ বছর এই নাম বহন করে চলেছিল বেলদা স্টেশন। তবে অবশ্য পরবর্তীতে নাম পরিবর্তিত হয়। তবে এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে এক কাহিনী।
গবেষকেরা মনে করেন, প্রায় ১৯০০ সালে স্টেশন স্থাপন করা হয় বেলদাতে। পরবর্তীতে বেলদাতে থামে যাত্রীবাহী ট্রেন। পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল স্টেশনটি। তবে বেলদা-সহ সংলগ্ন এলাকা ছিল বেশ ফাঁকা। এই বেলদা থেকে কাঁথির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার এর বেশি। মনে করা হয়, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, দিঘা-সহ উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের কথা ভেবে এই স্টেশনের নামকরণ করা হয় কন্টাই রোড স্টেশন।
আজ থেকে বেশ কয়েক দশক আগে কাঁথি থেকে বেলদা পর্যন্ত উট, ঘোড়া কিংবা গরুর গাড়িতে করে মানুষ আসতেন ট্রেন ধরার জন্য। এই স্টেশনেই তৈরি করা হয় আরএমএস কাউন্টার। তাও বেশ প্রাচীন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে সেই কাউন্টার বন্ধ। স্থানান্তরিত হয়েছে অন্যত্র। তবুও তার দেওয়ালের গায়ে এখনও জ্বলজ্বল করছে কন্টাই রোড নামটি।
স্বাভাবিকভাবে শতবর্ষের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বেলদা স্টেশন। নাম পরিবর্তিত হলেও এককালের কন্টাই রোড স্টেশন আজ বেলদা স্টেশনে পরিণত হয়েছে। পুরনো ভবন ভেঙে তৈরি করা হয়েছে নতুন বিল্ডিং। স্বাভাবিকভাবে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে ভরা এই স্টেশন।





