SIR in West Bengal: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যদি বাবা-মায়ের নাম না থাকে, তাহলে কী করবেন? আপনার নাম আর উঠবে না? সহজ উপায় কিন্তু আছে
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
SIR in West Bengal: এই রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কোনও নথিই দিতে হবে না। যদি ২০০২ সালের তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকে, তাহলে কী করতে হবে?
advertisement
advertisement
advertisement
কমিশন সূত্রের খবর, দু’-একটি পরিবর্তন ছাড়া বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একই ভাবে এসআইআর হবে। সেই অনুযায়ী, এই রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম দেখাতে পারলেই এ বারের এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। এসআইআরে ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।তিনি আরও বলেন, "আজ রাত ১২টা থেকে যে সব রাজ‍্যে এসআইআর হচ্ছে সেই সব রাজ‍্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করে দেওয়া হবে।"
advertisement
advertisement
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপনার নাম ২০০২, ২০০৩ বা ২০০৪ সালের এসআইআরে নাম না থাকলে বাবা-মা বা অভিভাবকদের নামও দেওয়া যাবে। এবার শুরু থেকেই ফর্ম ৬ নেওয়া হবে। সেখানে বাবা-মায়ের পরিবর্তে অভিভাবকের নামও দেখানো যাবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকায় থাকা সব মৃত এবং অবৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়বে।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, পরিচয় এবং বয়সের প্রমাণ হিসেবে নিম্নলিখিত ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দেওয়া যেতে পারে:
advertisement
যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন বা যাঁদের নাম দু’টি এপিক নম্বরে দু’জায়গায় রয়েছে তাঁদের নাম এক জায়গা থেকে বাদ পড়বে। কারচুপি করে তালিকায় নাম তোলা ব্যক্তিরা ‘অবৈধ ভোটার’। এ ক্ষেত্রে বিশেষত বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের ইঙ্গিত করা হয়েছে। কমিশন মনে করছে, কারচুপি করে ওই ১১টি নথির মধ্যে কোনও একটি তৈরি করা গেলেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাবা বা মায়ের নাম দেখাতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তখন নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ভারতের নাগরিক প্রমাণ করতে না পারলে নাম বাদ যাবে।
advertisement
কমিশনের নির্দিষ্ট ১১টি নথি কী কী? ১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।
