Nadia News: এসআইআর ঘিরে নদিয়ায় বিরাট বিতর্ক! যিনি বিএলও, তাঁর সঙ্গেই এ কী কাণ্ড! ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট খুলতেই রহস্যফাঁস

Last Updated:

Nadia News: ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা রজনীকান্ত পালকে ঘিরে।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় খোদ বিএলওদেরই নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে! 
জেলার বিভিন্ন জায়গায় খোদ বিএলওদেরই নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে! 
চাকদহ, মৈনাক দেবনাথ: SIR শুরু হতেই রাজ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকে এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে বিএলও হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর নিজেরই নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়! আরও আশ্চর্যের বিষয়, সেই তালিকায় তার পরিবারের কারও নামও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলিয়া পাড়ার বাসিন্দা রজনীকান্ত পালকে ঘিরে। তিনি কালিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বর্তমানে স্থানীয় ১৮৫ নম্বর বুথের বিএলও। ব্লক প্রশাসন তাকে নিয়োগপত্র দিলেও পরে জানা যায়, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। বয়সের কারণে তার নাম ওঠে ২০১৪ সালে। কিন্তু তার বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও নামও ২০০২ সালের তালিকায় না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, নিজের নামই নেই যার, তিনি আবার অন্যের নাম যাচাই করবেন কীভাবে?
advertisement
advertisement
যদিও বিএলও রজনীকান্তবাবুর দাবি, তার নাম বিডিও অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে। সেই মোতাবেক তিনি জানতে পেরেছেন, তিনি বিএলও হিসাবে কাজ করবেন। তিনি নিজে থেকে আবেদন করেননি। তবে তিনি কার্যত স্বীকার করেছেন তার পরিবারের কারও নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নেই। তবে তার নাম না থাকাই স্বাভাবিক। কারণ তিনি তখন নাবালক ছিলেন।
advertisement
অপরদিকে এ বিষয়ে শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, বিডিও অফিসের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়ম-কানুন মেনেই বিএলও নিয়োগ হয়েছিল। এরপর নির্বাচন কমিশন নতুন নোটিফিকেশন জারি করার পর তার কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় রজনীকান্তবাবুর পরিবারের নাম এবং তার নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নেই। সেইমতো নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে চলা হবে। এবং নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী যারা বিএলও হিসাবে কাজ করবেন সেই পরিকল্পনাও ইতিমধ্যে শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।
advertisement
অন্যদিকে নদিয়া জেলার চাকদহ থানার অন্তর্গত তাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ মষরা মাঠপাড়া থেকে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ২০০২ কালের ভোটার তালিকায় নেই নাম, অথচ তিনি সামলাচ্ছে বিএলও এর দায়িত্ব। ওই এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপুর হাড়িপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ৯১/১৩০ পার্টের – র বিএলও – রনি অধিকারী- র মা ” পুষ্পরানী অধিকারী” এবং পিতা ” দুলাল অধিকারী” ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে এপারে আসে এবং অভিযোগ ওঠে তারা নাকি অবৈধভাবে তাদের নামে নথিপত্র বের করে বলে জানা যায়।
advertisement
যদিও ওই বিএলও-র দাবি, ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য বাবা মায়ের পাশাপাশি লিগাল গার্জিয়ানের নামও দিতে পারা যায়। বাবা মায়ের নাম না থাকলেও সেই লিগাল গার্জিয়ানের নাম সেই তালিকায় রয়েছে। তবে ২০০২ সালে তখন তার ভোটারাধিকারের বয়স হয়নি বলেই তার নাম নেই।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: এসআইআর ঘিরে নদিয়ায় বিরাট বিতর্ক! যিনি বিএলও, তাঁর সঙ্গেই এ কী কাণ্ড! ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট খুলতেই রহস্যফাঁস
Next Article
advertisement
SSC: পুরনো স্কুলের চাকরি ফিরে পাবেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা! কীভাবে? বড় সিদ্ধান্ত এসএসসি-র
পুরনো স্কুলের চাকরি ফিরে পাবেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা! কীভাবে? বড় সিদ্ধান্ত এসএসসি-র
  • পুরনো স্কুল শিক্ষকতায় ফিরতে চলেছেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একাংশ। আগামী ১ নভেম্বর থেকে তাঁদের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষকতায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

VIEW MORE
advertisement
advertisement