গ্রন্থাগারে এখন পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতি, ঝুমুর, ভাদু, টুসু প্রভৃতি লোকগীতি ও নৃত্যসংস্কৃতি বিষয়ক বই, জেলার ইতিহাস বিষয়ক নানা গবেষণা এবং স্থানীয় সাহিত্যিক ও গবেষকদের রচনাসমূহ সংরক্ষিত রয়েছে। এর ফলে বিশেষ করে স্থানীয় স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পুরুলিয়ার ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারছে।
আরও পড়ুনঃ মাতৃ রূপে মেয়ের পুজো! বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে প্রথমবার কুমারী পুজো, সাক্ষী থাকুন আপনিও
advertisement
কাশীপুর জে.কে.এম. গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা দত্ত ও সুপর্ণা দত্ত জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাশীপুরের এই তরুণ সংঘ গ্রন্থাগারে আসছি। এখানকার বইগুলো সবই অত্যন্ত মূল্যবান। বর্তমানে পুরুলিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে নতুন যে বইগুলো সংযোজিত হয়েছে তা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হচ্ছে। এখন তারা নিজেদের জেলার ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারছে’।
তরুণ সংঘ গ্রন্থাগার
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক শুতনু পট্টনায়ক জানান, “পুরুলিয়া সম্পর্কিত বই আগে থেকেই কিছু ছিল, কিন্তু এখন আমরা সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়িয়েছি। জেলার বিভিন্ন বইমেলা থেকে সংগ্রহ করে এই বইগুলো গ্রন্থাগারে সংরক্ষণ করেছি”। তিনি আরও বলেন, “কাশীপুর রাজবাড়ির একটি দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। কাশীপুরের সঙ্গে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সম্পর্কও অত্যন্ত নিবিড়। ভবিষ্যতে আমরা গ্রন্থাগারের মধ্যেই মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও কাশীপুর রাজবাড়ি সম্পর্কিত একটি বিশেষ সংগ্রহশালা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছি”।
তরুণ সংঘ গ্রন্থাগারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পুরুলিয়ার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও প্রচারের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আগামী প্রজন্মের কাছে জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।





