রাখি পূর্ণিমাতে বিশেষ করে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় পবিত্র রাখি পরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: মালদহ, মুর্শিদাবাদের ভাঙ্গন রুখতে রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু, অর্থ দেবে কে? কেন্দ্রের সাহায্য?
রাখি বন্ধন উৎসবের ইতিহাস খুঁজলে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দুই দিকই পাওয়া যায়। ধর্মীয় দিক থেকে উঠে আসে শিশুপাল বধের কাহিনী। তবে ভাই বোনদের উৎসব ছাড়াও এটি যে ভ্রাতৃত্বের উৎসব, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে ভারতের ইতিহাস ঘাটলেই। সেখানে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। এই উৎসবে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি স্থাপনের জন্য পারস্পরিক রাখি বন্ধনের মাধ্যমে মিলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
advertisement
তখন থেকেই রাখি শুধুমাত্র ভাইবোনদের উৎসব নয়, রাখি উৎসব ভাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের উৎসবও বটে। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন তারপরই রাখি পূর্ণিমা, দোকানে বিভিন্ন ধরনের রাখির সমাহার,কিন্তু ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি আরও বেহাল হওয়ায় বিক্রিবাটা নেই একদম। এমনিতেই বেশিরভাগ সময়ে বন্যায় ডুবে ঘাটাল। তারপর এবছর একনাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা ঘাটালবাসীর। জল কমার বদলে উত্তরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমত অবস্থায় ক্রেতা শূণ্য দোকানে রাখি বিক্রির প্রসঙ্গ উঠতেই বিক্রেতার মুখে উঠে এল জলযন্ত্রণার কথা।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে অঘটন! ডুয়ার্সে হড়পা বানের তাণ্ডব, পাহাড়ি নদীতে তলিয়ে গেল আস্ত ট্রাক্টর!
ঘাটালে রাখির দোকানদাররা পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও বন্যার জন্য বিক্রি নেই। কথাতেই আছে কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। কিন্তু তা হলেও উৎসব তো আর থেমে থাকে না। বৃষ্টি থেমে রোদের ঝিলিকের দেখা মিললে রাখি বিক্রেতারা একটু সুখের মুখ দেখলেও দেখতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।





