ধীরে ধীরে যখন আসানসোল শহর গড়ে উঠছে, তখন ধর্মপ্রচারকদের কাছেও এই জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। খ্রিস্ট ধর্মের প্রচারকরা তখন এখানে আসেন। একটি চার্চ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তখনই দেখা দেয়। আর তারপরেই জিটি রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুরু হয় স্যাক্রেড হার্ট চার্চ তৈরির কাজ। যে চার্চটি আসানসোল শহরের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গী। সাক্ষী বহুল ইতিহাসের।
advertisement
আরও পড়ুন: জানলা-দরজা ছাড়া শৌচালয়, কিনে আনতে হয় পানীয় জল! কপাল পোড়া অবস্থা রাজ্যের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় ইতিহাসবিদদের সূত্রে জানা যায়, ১৮৭৩ সালে এই চার্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও এই চার্চে প্রথমবারের জন্য প্রার্থনা করা হয় ১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর। মূলত ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কর্পোরেশনের উদ্যোগে আসানসোলে তৈরি হয় স্যাক্রেড হার্ট চার্চ। যে চার্চে এখনও নিয়মিত হয় প্রার্থনা। বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
অনেক ইতিহাসবিদ দাবি করেন, যে সময় এই চার্চ তৈরি করা হয়েছিল, তখন লন্ডন থেকে আনা হয়েছিল চার্চ তৈরির ইট। যদিও বর্তমানের চার্চ এবং পুরো এলাকাটি তৈরি হয় ১৯২৭ সালে। উল্লেখ্য, চলতি বছরেও বড়দিন উপলক্ষে এই চার্চে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছিল। তাছাড়াও সকাল থেকেই বহু মানুষ এখানে নিজেদের প্রার্থনা জানাতে আসছেন। অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষে নানা রঙিন আলোয় সেজে উঠেছে স্যাক্রেড হার্ট চার্চ। যীশু খ্রীষ্টের জন্ম বৃত্তান্ত মডেলের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এখানে।
নয়ন ঘোষ