আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার দুই স্কুল পড়ুয়ার অভিনব ভাবনা,শিবের মাথায় জল ঢালতে ৩০ কিলোমিটার দণ্ডী
রাজ্যজুড়ে যখন স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে, তখন একদল মানুষ এই অন্ধকারকে দূর করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই শিক্ষকরা শুধু ক্লাসরুমে পড়ান না, তাঁরা মাঠ-ঘাট, গ্রাম-গঞ্জ চষে বেড়ান। শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যান, তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, এবং বোঝানোর চেষ্টা করেন শিক্ষার গুরুত্ব। প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্রনাথ পাল জানান, ২০১৯ সাল থেকেই তাঁরা এই ব্যতিক্রমী সংগ্রামে যুক্ত। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যখন কিছু শিক্ষার্থীকে স্কুলে আনা যাচ্ছে না, তখন এই ‘মানুষ তৈরির কারিগররা’ সহজে হাল ছাড়তে রাজি নন। তাদের একমাত্র লক্ষ্য প্রত্যেকটি শিশুকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে তোলা।
advertisement
ভাবুন তো আপনি নিজের কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে বেরিয়ে পড়েছেন এক বিরাট অভিযানে! আপনার লক্ষ্য হল সেই সব ছোট ছোট মুখগুলোকে খুঁজে বের করা, যারা কোন কারনে শিক্ষার আলো থেকে দূরে সরে গেছে। এই মানুষগুলোর অদম্য জেদ আর আত্মত্যাগ কি আপনাকেও ভাবিয়ে তুলছে না? হয়তো আপনার আশেপাশেও এমন অনেক ‘মানুষ তৈরীর কারিগর’ আছেন যাদের গল্প এখনও আমাদের অজানা । এই মানুষগুলোর নীরব প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগ আমাদের সমাজের জন্য এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে।





