এরপর থেকেই খাদ্য তালিকায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, এই জাতীয় ভাজা ও মিষ্টি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এতে শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। তাই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছিল। এই বক্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জেলার সাধারণ মানুষজনও। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ নয়। বিষয়টি নিয়ে কী জানালেন জেলার বিধায়ক থেকে জনপ্রতিনিধি এমনকি সাধারণ মানুষ।
advertisement
অশোকনগরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, শিঙাড়া আর জিলিপি ছাড়া বাঙালি সন্ধে কল্পনাই করতে পারে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা উচিত, কিন্তু এভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া যায়না। কেন্দ্রের নির্দেশে .যদিও শিঙাড়া এবং জিলিপির কোনও আলাদা করে উল্লেখ্য ছিল না। যদিও মিষ্টি তেলের সতর্কীকরণের নোটিস থেকে ছড়িয়ে পড়ে শিঙাড়া এবং জিলিপির কোপ পড়ার খবর। দুই প্রিয় খাবারকে নিয়ে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ বেশিরভাগ বাঙালি।
জিলাপি ও শিঙাড়া তৈরি করা দোকানদারদের একাংশ জানান, দোকানে রোজ গড়ে কয়েকশো সিঙাড়া, ও কয়েক কেজি জিলিপি বিক্রি হয়। এমন নির্দেশ এ ব্যবসা মার খাবে। ক্ষতি হবে ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় এক কলেজছাত্রী বলেন, ধরুন বৃষ্টি পড়লে শিঙাড়া না খেলে যেন মন ভরে না। আবার সকালের জলখাবারের সঙ্গে পাতে একটা জিলিপি থাকলে যেন পরিপূর্ণ লাগে। এতেও যদি নিয়ন্ত্রণ চলে আসে, তবে আর ব্যক্তি স্বাধীনতা কোথায় থাকল। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী দুই পক্ষেই। তবে যতই স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরামর্শ দিক কেন্দ্র, বাঙালির খাদ্য তালিকায় যে এখনই বাদ পড়ছে না শিঙাড়া জিলিপি তা বলাই বাহুল্য।
Rudra Narayan Roy





