বাংলা অনার্স নিয়ে পড়াশোনা চললেও, থেমে থাকেনি তার লড়াই। একদিকে সংসারের দায়িত্ব, অন্যদিকে নিজের স্বপ্ন—এই দুইয়ের টানাপোড়েনে দিন কেটেছে তার। চা–চপের দোকানে কয়লা ভাঙার ফাঁকে ফাঁকেই সুর তুলেছেন তিনি। সেই অদম্য ইচ্ছাশক্তিই একদিন তাকে পৌঁছে দেয় বিভিন্ন মঞ্চে।
advertisement
জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো খ্যাত শিল্পী দীপ চ্যাটার্জির মতও প্রতিষ্ঠিত গায়কের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের কণ্ঠে ছড়িয়ে দেন আবেগ ও প্রতিভার মিশেল। সবাই মুগ্ধ হয়েছিলেন বাঁকুড়ার এই সাধারণ যুবকের গলার গান। এ যেন প্রমাণ—স্বপ্নের পিছু ছুটলে অসম্ভবও সম্ভব।
তবে এখানেই শেষ নয় বিশ্বজিতের যাত্রা। এখন তিনি একটি জনপ্রিয় চ্যানেলের বাংলার পর্দায় অভিনয় করছেন, নতুনভাবে নিজের শিল্পী সত্তাকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন দর্শকের মনে। পরিশ্রম, প্রতিভা ও অধ্যবসায় মিললে কীভাবে জীবনের দিক পরিবর্তন করা যায়, তার জীবন্ত উদাহরণ তিনি।
আজ বাঁকুড়ার সেই চা–চপওয়ালার ছেলে শুধু নিজের পরিবারের নয়, হয়ে উঠেছেন হাজার তরুণের অনুপ্রেরণা। বিশ্বজিতের গল্প শেখায়—সুযোগ একদিন না একদিন দরজায় কড়া নাড়বেই, যদি তোমার সুরে থাকে বিশ্বাসের স্পন্দন।





