Health Tips: প্রস্রাব করলেই জ্বালাপোড়া, তলপেটে অসহ্য ব্যথা হয়? পুষ্টির 'খনি' এটি...! রোজ ১টা করে খেলেই মিরাকেল, কমায় খারাপ কোলস্টেরলও

অক্টোবরের দিকে বাজারে আসতে শুরু করে এই সুপারফুড৷ সকলের অতিপ্রিয় মিষ্টি আলু একটি সাধারণ মূলাধারী সবজি, যা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ এবং চিত্তাকর্ষক পুষ্টিগুণের জন্য সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয়।

এই মিষ্টি আলু স্বাস্থ্য উপকারিতার একটি পাওয়ার হাউসও, যা ঠান্ডার মাসে শরীরকে উষ্ণ এবং ফিট রাখার জন্য পরিচিত। আয়ুর্বেদিক নীতি অনুসারে , মিষ্টি আলু শরীরের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে বাত এবং কফ দোষের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশ পাণ্ডের মতে, মিষ্টি স্বাদ থাকা সত্ত্বেও, মিষ্টি আলুকে সাত্ত্বিক খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং প্রায়শই উপবাসের সময় খাওয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীরাও অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। প্রাকৃতিক শক্তিতে সমৃদ্ধ, এগুলি শরীরকে শীতকালীন সাধারণ অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে এবং প্রাণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

মিষ্টি আলু প্রায়শই সুপারফুড হিসেবে পরিচিত, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায়। এতে উপস্থিত আয়রন এবং পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

মিষ্টি আলু মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) প্রতিরোধে সাহায্য করে বলে জানা যায়। এটি রোজ খেলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি দূর হয়।

মিষ্টি আলু ত্বক এবং চুলের জন্যও ভাল। এর উপকারিতা অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের বাইরেও বিস্তৃত। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন রঙ্গকতা হালকা করতে, কালো দাগ দূর করতে এবং ত্বককে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দিতে সাহায্য করে।

ফেসপ্যাক হিসেবে মিষ্টি আলু ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং গঠন আরও বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।

সেদ্ধ, ভাজা, অথবা স্যুপ তৈরি করে যাই খান না কেন, মিষ্টি আলু নানাভাবে উপকারী।

এগুলি স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য অমৃত,শীতকালীন খাদ্যতালিকায় রোজ পাতে রাখুন মিষ্টি আলু।