এছাড়াও থাকছে মাশরুমের বীজ (স্পন) ও কাঁচা মাশরুম। এই আউটলেট থেকে যে কেউ মাশরুমের বীজ ক্রয় করে তা দিয়ে মাশরুম চাষ করে বিক্রি করতে পারবেন। শুধু তাই নয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেবে এই সংস্থা।  এমনকী তাদের উৎপাদন করা মাশরুমের বাণিজ্যিকীকরণের ব্যবস্থা করবে এই সংস্থা। এতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে মহিলারা। এছাড়াও কেউ যদি মাশরুম দিয়ে তৈরি করা এই প্রোডাক্টগুলিকে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা করতে চায় তারও সুযোগ করে দিচ্ছে এই সংস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন: দেওয়াল কেটে অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরি! দেখেই ‘থ’ আধিকারিকারা! তারপর যা ঘটল মুর্শিদাবাদে
এ বিষয়ে ওই সংস্থার প্রোপাইট সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, তারা মাশরুমের বেশকিছু ভ্যারাইটি তৈরি করেছেন। এগুলি তারা বিক্রি করবেন। এছাড়াও তারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ট্রেনিং দিয়ে শেখাবেন কীভাবে মাশরুম উৎপাদন করতে হয়। পরবর্তীতে তাদের থেকে উৎপাদিত মাশরুম তারা কিনে নেবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালী বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাশরুমের ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করছে এই সংস্থা। আমরা তাদেরকে সমস্ত দিক থেকেই সহযোগিতা করব। আগে মাশরুম চাষ করলে তা কোথায় বিক্রি করতে হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হতো চাষিদের। এই সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত মাশরুম বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আগামীদিনে মাশরুম চাষে আগ্রহী হবে।”
এ বিষয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা রেখা রায় বলেন, এই সংস্থা যেভাবে তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এতে তাদের উপকার হবে।  আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন তারা। স্থানীয় মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে এক অভিনব ভাবনা নেওয়া হয়েছে। এই মাশরুম চাষের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।





