পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বাসিন্দা পায়েল দেবী। বছর ১০ এর যমজ পুত্র সন্তান-সহ ঘর সংসার সামলে তিনি এখন স্বাবলম্বী। তাঁর স্বামী দেবজ্যোতি কর্মকার একজন ম্যাডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও পায়েল দেবীর স্বনির্ভর হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে ছিল সেই ছোট থেকেই।
advertisement
২০১৯ সালে তিনি প্রথম বাড়িতে কেক বানানো শুরু করেন। সেই সমস্ত হোম মেড কেক মার্কেটিংয়ের জন্য বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়া। আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁর হোম মেড কেকের অর্ডার আসতে থাকে৷ ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে তাঁর হাতের তৈরি কেক। কেকের স্বাদ, ডিজাইন ও গুণগত মান ভাল হওয়ায় চাহিদাও বাড়তে থাকে হু-হু করে। সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কেকের অর্ডার মিলতেই থাকে। পাশাপাশি ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ব্যাপক চাহিদা থাকে ফ্রুট কেকের। এই সময় দিনরাত এক করে পায়েলদেবী কেক তৈরি করেন।
একসময় তিনি বাড়ির ব্যবহৃত ডাইনিং টেবিলেই কেক তৈরি করতেন। চাহিদা বাড়তে থাকায় বর্তমানে কেক বানানোর একটি ওয়ার্কশপও করেছেন৷ সেখানে কেক বানানোর পাশাপাশি মহিলাদের কেক বানানোর প্রশিক্ষণ দেন তিনি। এছাড়াও অনলাইনেও কেক বানানোর প্রশিক্ষণ দেন তিনি। গত ৫ বছরে ১২টি ব্যাচের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া তাঁর সম্পূর্ণ হয়েছে। তাঁরাও বাড়িতে বসে কেক তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন। এছাড়াও কেক তৈরির উপকরণ ও সামগ্রী-সহ সরঞ্জাম বিক্রির দোকানও রয়েছে তাঁর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রায় তিন বছর আগে তাঁর ওই দোকান চালু হয়েছে। কেক বানানোর উপকরণ ও সামগ্রী কেবল আসানসোল এলাকায় বিক্রি হয় না। তাঁর দোকান থেকে ওই সমস্ত সামগ্রী বর্তমানে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা-সহ ভিন জেলায় যাচ্ছে। যার ফলে হোম মেকার মহিলাদের কেকের সরঞ্জাম পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না আর। নিজে রোজগারের পাশাপাশি অন্যান্য মেয়েদের আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এই গৃহবধূ।





