TRENDING:

Success Story: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! সন্তান-সংসার সামলে নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী, বাড়ি বসেই মোটা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন আসানসোলের গৃহবধূ

Last Updated:

West Bardhaman Success Story: স্বনির্ভর হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছেই আজ পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের দোরগোড়ায়। কেবল নিজে নয় অন্যান্য মহিলাদের হাতে ধরে সফলতার দিশা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের গৃহবধূ পায়েল কর্মকার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দীপিকা সরকার: কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। মনোবলই আনে সাফল্য। এমনই নজির গড়েছেন মাত্র ২৭ বছর বয়সী একজন সাধারণ গৃহবধূ পায়েল কর্মকার। নিজের দুই যমজ সন্তান ও সংসার সামলে  তিনি ঘরে বসেই কেক বানিয়ে স্বাবলম্বী তো হয়েছেন, পাশাপাশি আরও দেড়শো জন গৃহবধূ-সহ যুবতীকে স্বনির্ভর করে তুলেছেন৷ এছাড়াও তাঁর জীবনে সাফল্য আসায় বর্তমানে তিনি একটি কেক তৈরির উপকরণ ও সামগ্রীর দোকানও করেছেন।
advertisement

পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বাসিন্দা পায়েল দেবী। বছর ১০ এর যমজ পুত্র সন্তান-সহ ঘর সংসার সামলে তিনি এখন স্বাবলম্বী। তাঁর স্বামী দেবজ্যোতি কর্মকার একজন ম্যাডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও পায়েল দেবীর স্বনির্ভর হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে ছিল সেই ছোট থেকেই।

আরও পড়ুনঃ ‘অভিশপ্ত’ শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস! স্কুল থেকে ফেরার পথে ৭ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু, ট্রাকের চাকায় পিষে ছিন্নভিন্ন দেহ

advertisement

২০১৯ সালে তিনি প্রথম বাড়িতে কেক বানানো শুরু করেন। সেই সমস্ত হোম মেড কেক মার্কেটিংয়ের জন্য বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়া। আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁর হোম মেড কেকের অর্ডার আসতে থাকে৷ ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে তাঁর হাতের তৈরি কেক। কেকের স্বাদ, ডিজাইন ও গুণগত মান ভাল হওয়ায় চাহিদাও বাড়তে থাকে হু-হু করে। সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কেকের অর্ডার মিলতেই থাকে। পাশাপাশি ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ব্যাপক চাহিদা থাকে ফ্রুট কেকের। এই সময় দিনরাত এক করে পায়েলদেবী কেক তৈরি করেন।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ এবার মর্নিং ওয়াক করতে করতেই হবে পরিবেশ সাফ! শীতের ভোরে কৃষ্ণনগরের রাস্তায় প্লগিং, জেলা পুলিশের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

একসময় তিনি বাড়ির ব্যবহৃত ডাইনিং টেবিলেই কেক তৈরি করতেন। চাহিদা বাড়তে থাকায় বর্তমানে কেক বানানোর একটি ওয়ার্কশপও করেছেন৷ সেখানে কেক বানানোর পাশাপাশি মহিলাদের কেক বানানোর প্রশিক্ষণ দেন তিনি। এছাড়াও অনলাইনেও কেক বানানোর প্রশিক্ষণ দেন তিনি। গত ৫ বছরে ১২টি ব্যাচের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া তাঁর সম্পূর্ণ হয়েছে। তাঁরাও বাড়িতে বসে কেক তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন। এছাড়াও কেক তৈরির উপকরণ ও সামগ্রী-সহ সরঞ্জাম বিক্রির দোকানও রয়েছে তাঁর।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জেলায় প্রথম প্যারা যোগা প্রতিযোগিতার আয়োজন, বিশেষভাবে সক্ষম প্রতিযোগিদের যোগা দেখুন
আরও দেখুন

প্রায় তিন বছর আগে তাঁর ওই দোকান চালু হয়েছে। কেক বানানোর উপকরণ ও সামগ্রী কেবল আসানসোল এলাকায় বিক্রি হয় না। তাঁর দোকান থেকে ওই সমস্ত সামগ্রী বর্তমানে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা-সহ ভিন জেলায় যাচ্ছে। যার ফলে হোম মেকার মহিলাদের কেকের সরঞ্জাম পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না আর। নিজে রোজগারের পাশাপাশি অন্যান্য মেয়েদের আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এই গৃহবধূ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Success Story: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! সন্তান-সংসার সামলে নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী, বাড়ি বসেই মোটা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন আসানসোলের গৃহবধূ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল