পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের অন্যতম ক্ষেত্র। একদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। অন্যদিকে এই জেলার মধ্য দিয়ে শিরা উপশিরার মত বয়ে গিয়েছে একাধিক খাল বিল নদ-নদী। ফলে এই জেলার বহু মানুষ নদী ও সমুদ্রে মাছ শিকার করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু দিনের পর দিন নদী ও সমুদ্রে মাছের জোগান নেই। ফলে পেটে ভাত নেই মৎস্যজীবীদের।
advertisement
প্রতিবছর মাছ শিকারের মরশুমে দেখা যায়, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের জোগান কমছে। ফলে মরশুমে এখন জাল ফেলে সেই রোজগার আর নেই। বছরের পর বছর দুশ্চিন্তা বাড়ছে জেলার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবিকার সংকট আরও গভীর হয়ে উঠেছে নদী বা সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের জেরে। অনিয়ন্ত্রিত ট্রলার ফিশিং-সহ নানা কারণে জীবন জীবিকা ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের।
এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক দেবাশীষ শ্যামল বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে দিন দিন মাছের জোগান কম হচ্ছে। এক, অনিয়ন্ত্রিত ফিশিং বা ট্রলার ফিশিং। দুই, নদী সমুদ্রে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়াও উপকূলবর্তী অঞ্চলে একাধিক প্রকল্পের কারণে জীববৈচিত্র হারাচ্ছে নদ-নদী ও সমুদ্র। আর তাতেই সামুদ্রিক মাছ উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। শেষ কয়েক বছরে ষাট শতাংশ মাছ উৎপাদন কমে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন প্রান্তিক মৎস্যজীবীরা। আবার সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে আরও সমস্যা নেমে এসেছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী পরিবারে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৎস্যজীবী ফোরামের সূত্রে জানা যায়, শেষ কয়েক বছরে জীবিকা হারিয়েছে এক লক্ষের বেশি ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের কেন্দ্যামারি ফেরিঘাট থেকে জুনপুট মৎস্য খুঁটি পর্যন্ত দু’দিনের পদযাত্রা শুরু করেছে। ১৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এই পথযাত্রা শুরু হয়েছে। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের এই দাবিতে কতটা সাড়া দেয় মৎস্য দফতর, সেদিকে তাকিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় দেড় লক্ষরও বেশি প্রান্তিক মৎস্যজীবী।





