TRENDING:

East Medinipur: নদী-সমুদ্রে মাছের জোগান কমছে, জীবিকার সংকটে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা! পেটের দায়ে পথে নেমেছেন জেলেরা

Last Updated:

East Medinipur News: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের অন্যতম ক্ষেত্র। আর সেখানেই দিনের পর দিন নদী ও সমুদ্রে মাছের জোগান কমছে। যার ফলে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকায় টান পড়ছে। বাধ্য হয়ে পেশা ছাড়ছেন মৎস্যজীবীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, সৈকত শী: নদী বা সমুদ্রে জাল ফেলে মাছ উঠলে তবেই মৎস্যজীবীদের পরিবারে উনুনে হাঁড়ি চড়ে। কিন্তু বর্তমান সময়ে নদী বা সমুদ্র যেন দিন দিন বন্ধ্যা হয়ে পড়ছে। নদী বা সমুদ্রে জাল ফেলে মাছ আর উঠছে না। আর তাতেই সমস্যায় পড়ছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী পরিবারের মানুষজন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রাম নদী ও সমুদ্র কেন্দ্রিক। কিন্তু দিনের পর দিন নদী ও সমুদ্রে মাছের জোগান কমছে। মৎস্যজীবীদের অন্ন সংস্থানে আরও কোণঠাসা করে দিয়েছে। ফলে জীবিকার সংকটে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা।
advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের অন্যতম ক্ষেত্র। একদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। অন্যদিকে এই জেলার মধ্য দিয়ে শিরা উপশিরার মত বয়ে গিয়েছে একাধিক খাল বিল নদ-নদী। ফলে এই জেলার বহু মানুষ নদী ও সমুদ্রে মাছ শিকার করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু দিনের পর দিন নদী ও সমুদ্রে মাছের জোগান নেই। ফলে পেটে ভাত নেই মৎস্যজীবীদের।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদের ইঞ্জিন বোটে নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা! তবে পর্যটকদের ছাড়পত্র, বনদফতরের নিয়মের গেঁড়ো

প্রতিবছর মাছ শিকারের মরশুমে দেখা যায়, অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের জোগান কমছে। ফলে মরশুমে এখন জাল ফেলে সেই রোজগার আর নেই। বছরের পর বছর দুশ্চিন্তা বাড়ছে জেলার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবিকার সংকট আরও গভীর হয়ে উঠেছে নদী বা সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের জেরে। অনিয়ন্ত্রিত ট্রলার ফিশিং-সহ নানা কারণে জীবন জীবিকা ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ রেলস্টেশন নাকি বিমানবন্দর বোঝা দায়! রেল প্রকল্পের অধীনে তমলুক স্টেশনের সম্পূর্ণ ভোলবদল, ঝাঁ চকচকে পরিকাঠামো, দেখুন ছবিতে

এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক দেবাশীষ শ্যামল বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে দিন দিন মাছের জোগান কম হচ্ছে। এক, অনিয়ন্ত্রিত ফিশিং বা ট্রলার ফিশিং। দুই, নদী সমুদ্রে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়াও উপকূলবর্তী অঞ্চলে একাধিক প্রকল্পের কারণে জীববৈচিত্র হারাচ্ছে নদ-নদী ও সমুদ্র। আর তাতেই সামুদ্রিক মাছ উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। শেষ কয়েক বছরে ষাট শতাংশ মাছ উৎপাদন কমে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন প্রান্তিক মৎস্যজীবীরা। আবার সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে আরও সমস্যা নেমে এসেছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী পরিবারে।’

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

মৎস্যজীবী ফোরামের সূত্রে জানা যায়, শেষ কয়েক বছরে জীবিকা হারিয়েছে এক লক্ষের বেশি ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী-সমুদ্রে দিন দিন মাছের জোগান কমছে! জীবিকার সংকটে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা
আরও দেখুন

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের কেন্দ্যামারি ফেরিঘাট থেকে জুনপুট মৎস্য খুঁটি পর্যন্ত দু’দিনের পদযাত্রা শুরু করেছে। ১৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এই পথযাত্রা শুরু হয়েছে। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের এই দাবিতে কতটা সাড়া দেয় মৎস্য দফতর, সেদিকে তাকিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় দেড় লক্ষরও বেশি প্রান্তিক মৎস্যজীবী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur: নদী-সমুদ্রে মাছের জোগান কমছে, জীবিকার সংকটে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা! পেটের দায়ে পথে নেমেছেন জেলেরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল