পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও অন্যান্য রাজ্যে এর আগে একাধিক জায়গায় ফসল কেটে নেওয়ার পর নাড়া পোড়ানো হলেও সরকারের একাধিকবার এলাকার পরে অনেকাংশেই তা কমেছে। তবে এখনও ভিন রাজ্যের পাশাপাশি আমাদের রাজ্যেও বেশ কিছু জায়গায় ফসল কেটে নেওয়ার পর জমির অবশিষ্ট অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আর সেই ঘটনার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি হল এক কৃষকের।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ টন বাতাসার হরিলুট! চৈত্রের শীতলা অষ্টমীতে বটবৃক্ষ ঘিরে বিশাল আয়োজন নদিয়ায়
প্রশাসনিক বারণ সত্ত্বেও, চাষের জমিতে গমের খড় পোড়ানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের। ঘটনা নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার চাপড়া থানার খ্রিস্টান পাড়া এলাকার। মৃত কৃষকের ছেলে জানান, গতকাল দুপুরে গমের খড় পোড়াতে নিজের জমিতেই গিয়েছিলেন তার বাবা ৬৫ বছরের ফিলিপ বিশ্বাস। ঘটনায় তিনি হয়ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পরে যান এবং খড়ের আগুনে পুড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ খানিকক্ষণ ওই অবস্থাতেই একাকি অবস্থায় পড়ে থাকেন চাষের মাঠে, এরপর বিকেলে পরিবার সদস্যরা খবর পেলে তাকে উদ্ধার করে কৃষকদের সহযোগিতায় হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ফিলিপ বিশ্বাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর চাপড়া থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এদিন কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে কেন সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে এই কাজ তিনি করছিলেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মৃতের ছেলে জানান, ‘কৃষকরা এই ভাবেই কাজ করেন।’ তাহলে বলা যেতেই পারে এখনও সরকারি নিয়ম লঙ্ঘল হচ্ছে চাষের মাঠে। যার ফলে এদিন পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের নষ্টের পাশাপাশি ঘটল প্রাণহানির মত ঘটনাও।
মৈনাক দেবনাথ






