অভিযোগ অনুযায়ী, আবাস বাড়িচর এলাকার ২৩৬ নম্বর বুথে প্রায় ১৪ জন মৃত ভোটারের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে যমুনা দে এবং বিকাশ দে প্রায় তিন বছর আগে মারা গেলেও তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েনি। শুধু তাই নয়, মৃতদের উত্তরসূরিরা ঘরবাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেলেও পুরোনো ঠিকানায় পরিবারের নাম ভোটার তালিকায় বহাল রয়েছে। তালিকায় আরও নাম উঠে এসেছে। প্রায় তিন বছর আগে মারা যাওয়া আশালতা মণ্ডল, প্রায় আট বছর আগে প্রয়াত বনমালী পণ্ডা, এমনকি চার বছর আগে মারা যাওয়া কানাই ঝুলকির নাম এখনও ভোটার তালিকায় বহাল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঝড়-জলে ফসলের ক্ষতিতে আর দুশ্চিন্তা নয়! ক্ষতিপূরণ দেবে বাংলা শস্য বিমা, কীভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন
কানাই ঝুলকির ছেলে প্রদীপ ঝুলকি প্রশ্ন তুলেছেন, বাবা মারা যাওয়ার এত বছর পরও নাম বাদ হল না কেন বুঝতে পারছি না। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব যাতে দ্রুত শুধু আমার বাবা-সহ অনেকেরই নাম রয়েছে শুনলাম সব নামই যাতে বাদ দেওয়া হয়।
তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান অর্থাৎ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। ভোটার লিস্টের কাজ পৌরসভা করে না। এটা নির্বাচন কমিশনারের কাজ। ওখানে যিনি বুথ লেভেল অফিসার আছেন তিনি এই কাজ করবেন।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৃত পরিবারের লোকজনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন বারে বারে জানানো হয়েছে তার পরেও ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যায়নি। রেশন কার্ড থেকে নাম বাদ চলে গিয়েছে অথচ ভোটার লিস্টে নাম থেকে গিয়েছে। পরিবারের দাবি, অবিলম্বে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়া হোক। এমনও এক ব্যক্তি আছেন যিনি সাত থেকে আট বছর আগে মারা গিয়েছেন ভোটার লিস্টে নাম এখনও থেকে গিয়েছে। অথচ তার পরে আরও দু’জন মারা যান তাদের নাম বাদ চলে গিয়েছে, কী করে হয় এমনটা বুঝতে পারছে না পরিবার।
তমলুকের মহকুমা শাসক পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে তমলুক শহরে এই ভুয়ো ভোটার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।