এবার এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় তারা এই জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য রাজ্য ও রাজ্যের বাইরের প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্য থেকে পাখি এনে পাচার! বাস থামিয়ে তল্লাশি বন দফতরের, উদ্ধার ১৫০ রোজ রিংড প্যারাকিট
advertisement
প্রাথমিকভাবে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ, আউশগ্রাম, কাটোয়া, পূর্বস্থলীর দুটি কেন্দ্র থেকে ২০০০ কেজিরও বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সংস্থাটি কোন লাভ না রেখে বাজারমূল্যে প্লাস্টিকগুলো পুনর্ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এর ফলে, একদিকে যেমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রগুলোর উপর থেকে চাপ কমছে, অন্যদিকে পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিগুলোর আয়ও বাড়ছে।মন্তেশ্বর , কালনা ও গলসি ব্লক থেকেও আগামী কয়েকদিনে বর্জ্য সংগ্রহ হবে।
আরও পড়ুনঃ অসাধ্য সাধন! ১০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিনামূল্যে! নজির গড়ল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ
সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান,পরিবেশ দূষনের অন্যতম কারণ বর্জ্য। এমত অবস্থায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিটি ব্লকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আজাদি ফর্ম ওয়েস্ট ড্রাইবের মাধ্যেমে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে বজ্য সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছি। প্লাস্টিক-সহ কঠিন বর্জ্য জমা হচ্ছে দিনের পর দিন। প্রশাসনের উদ্যোগে ও আমাদের এই সংস্কার সহযোগীতায় বর্জ্য প্লাস্টিক ও কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছি। মালদা এবং মুর্শিদাবাদে অনেক হাব রয়েছে সেখানে পাঠিয়ে এইগুলো পুনর্ব্যবহার যোগ্য গড়ে তোলা আমাদের উদ্যেশ্য। আমাদের এই প্রচেষ্টা পরিবেশ দূষণ রোখার সঙ্গে প্রশাসন অর্থনৈতিক দিকেও সাবলম্বি হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় জানান, এই উদ্যোগের ফলে এখন থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সব ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য একই মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে, যা জেলার প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা পরিবেশ দূষণ রোধ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই পদক্ষেপ অন্যান্য জেলা এবং রাজ্যের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। পরিবেশ দূষণ রোধে এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, পূর্ব বর্ধমানের এই উদ্যোগ সারা রাজ্যের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে কিনা।