একসময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করতেন তিনি। স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছিল সংসার। কিন্তু স্বামীর মৃত্যু ও মেয়েদের বিয়ের পর একাকীত্ব ও অবহেলায় মানসিক ভারসাম্য হারান। আজ তাঁর খোঁজ রাখেন না মেয়েরাও। এই করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে চা বিক্রেতা পঞ্জাব শেখ নিজেই ছুটে যান বৃদ্ধার কাছে। সঙ্গে ছিলেন বাউল শিল্পী কার্তিক দাস, স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ কর্মীরা। পঞ্জাব শেখ নিজে হাতে পরিষ্কার করেন আশপাশের এলাকা, ত্রিপল টাঙিয়ে তৈরি করেন অস্থায়ী আশ্রয়।
advertisement
সঙ্গে দেন কম্বল, জামাকাপড় ও খাদ্যসামগ্রী। পঞ্জাব শেখ বলেন, ” প্রশাসন-সহ সকলের কাছে অনুরোধ, এই মহিলার প্রতি নজর রাখুন। একটা স্থায়ী বাসস্থানের জায়গা হলে ভাল হত।” এই উদ্যোগে কেউ অর্থ, কেউ খাদ্য বা শ্রম দিয়ে পাশে দাঁড়ান। পাঞ্জাব শেখ বলেন, ”আমি একা করিনি, অনেকেই পাশে থেকেছেন। কার্তিক দাস দাদার সহযোগিতা সত্যিই অনন্য।”
স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের তরফেও এই মানবিক উদ্যোগের সাধুবাদ জানানো হয়েছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, ”মানবিকতা এখনও বেঁচে আছে, তা প্রমাণ করলেন পঞ্জাব শেখ।”এক সাধারণ চা-বিক্রেতার এই অসাধারণ কাজ গুসকরাকে গর্বিত করেছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





