এবার সীতাভোগের এই স্বাদ পেতে আপনাকে আর অপেক্ষা করতে হবে না বর্ধমান আসার। বাড়িতে বসে পেয়ে যাবেন বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ। বর্ধমানের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিকে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে বর্ধমানের এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বঙ্গের চেয়ে বেশি নাম বাদ গুজরাতে! মোদির রাজ্যে SIR-র তালিকা থেকে কাটা পড়ল প্রায় এক কোটি নাম
advertisement
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জনের বর্ধমান আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাবের নির্দেশে প্রখ্যাত মিষ্টি কারিগর ভৈরবচন্দ্র নাগ তৈরি করেছিলেন এই অমৃত সমান মিষ্টি। সময়ের চাকা গড়িয়েছে অনেক, কিন্তু সীতাভোগের সেই রাজকীয় মহিমা আজও অমলিন। সেই ঐতিহ্যে এবার নতুন মাত্রা যোগ করল শীতের বিশেষ উপহার ‘নলেন গুড়ের সীতাভোগ’। যা স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টি প্রেমীদের কাছে এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
নলেন গুড়ের সীতাভোগের স্বাদ নিতে বর্ধমান শহরের নেতাজী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ভিড় জমাচ্ছেন সকলে, কেউ আবার এই মিষ্টির পাঠাচ্ছেন বর্ধমানের বাইরে থাকা তার প্রিয়জনের কাছে। ভাবছেন তো বর্ধমানের বাইরে থেকেও কিভাবে পাবেন এই সীতাভোগের স্বাদ? বর্ধমানের নেতাজি মিষ্টান্ন ভান্ডার নিয়ে এসেছে এক বিশেষ সুযোগ। আপনি বর্ধমানের বাইরে থাকলেও এক ফোনেই বর্ধমানের বিখ্যাত সেই সীতাভোগ পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে। বাড়িতে বসে উপভোগ করতে পারবেন বর্তমানে বিখ্যাত সীতাভোগের স্বাদ।
মিষ্টি ব্যবসায়ী সৌমেন দাস বলেন, এই শীতে নলেন গুড়ের সীতাভোগের চাহিদা অনেক বেশি। অনেকেই সীতাভোগ কিনতে এসে নলেন গুড়ের সীতাভোগ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই এই সীতাভোগের স্বাদ যাতে সবাই উপভোগ করতে পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছি আমরা। বর্ধমানের বাইরে থেকে কেউ ফোনে অর্ডার করে, অনলাইন পেমেন্ট করে দিলেই আমরা ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দেব আমাদের এই সীতাভোগ।
ভৈরবচন্দ্র নাগের সেই কালজয়ী সৃষ্টি আজ নেতাজী মিষ্টান্ন ভান্ডারের হাত ধরে প্রযুক্তির ডানায় চড়ে দেশব্যাপী পাড়ি দিচ্ছে। ঐতিহ্যের বিশুদ্ধতা আর আধুনিক বিপণন ব্যবস্থার এই মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে বর্ধমানের মিষ্টান্ন শিল্পের জন্য এক নতুন দিশা।





