নিরাপত্তা কর্মীদের স্পষ্ট দাবি, অবিলম্বে তাঁদের বকেয়া বেতন মেটাতে হবে। অন্যথায় তাঁরা কোনও কাজ করবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই বিষয়ে এক নিরাপত্তা কর্মী সুজয় দাস বলেন, “আমার একটা ছোট বাচ্চা রয়েছে তার জন্য মাসে চারটে করে দুধ লাগে। সেই দুধ কীভাবে কিনব বেতন না পেলে? এই সমস্যার সমাধান না হওয়া অবধি আমরা কাজ করব না।”
advertisement
আরও পড়ুন: SIR-এর খসড়া তালিকা থেকে হাজার হাজার নাম বাদ আলিপুরদুয়ারে! সংখ্যা জানালেন জেলাশাসক
এই দাবির সমর্থনে মঙ্গলবার কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন সকল নিরাপত্তা কর্মী। যদিও তাঁরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গেটের পাশেই উপস্থিত রয়েছেন, তবে কোনও দায়িত্ব পালন করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। আর এক নিরাপত্তা কর্মী গোবিন্দ ঘোষ বলেন, “সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। টাকার জন্য অন্য কাজও করতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান হলে ভাল হয়। ধার দেনা করে এখন চালাতে হচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উল্লেখযোগ্যভাবে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার একাংশের বিপুল সংখ্যক মানুষ। প্রতিদিনই বিপুল রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। রোগীর আত্মীয়দের ভিড় সামলানো থেকে শুরু করে জরুরি বিভাগের সামনে কোনও বড় ধরনের অশান্তি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও তাঁদেরই সামলাতে হয়। অথচ সেই কর্মীরাই আজ চার মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ।বেতন না মেলায় নিরাপত্তা কর্মীদের সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
কর্মীদের দাবি, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে ভবিষ্যতেও একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে। কারণ অতীতেও তাঁদের বেতন প্রায় আড়াই মাস ধরে আটকে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল জানিয়েছেন, “আশা করছি এই মাসের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, সেইমতো উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কর্মীদের আশ্বস্ত করায় ওরা কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে।” এখন দেখার, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই সংকটের সমাধান করে কি না, কারণ রোগী পরিষেবা ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে সরাসরি এই সমস্যার সঙ্গে জড়িত, তা বলাই বাহুল্য।





