খবর পেয়ে জেলাশাসক আয়েষা রানি এ. শনিবার গ্রামে গিয়ে জলমগ্ন এলাকায় থাকা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর নির্দেশে এদিন বিকালেই আদমপুরের প্রায় ১৫০ জনকে তিনটে ত্রাণ শিবিরে এনে রেখেছে রায়না ২ ব্লক দফতর। নতুন করে বৃষ্টি ও ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমান বাড়ায় আরও একাধিক এলাকা প্লাবিত হতে পরে বলে আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বর্ষায় নতুন বিপদ, কালনায় ঘরে ঘরে রোগী…! তড়িঘড়ি বিশেষ ব্যবস্থা হাসপাতালে
কৃষি দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, রায়না ২ ব্লকে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। তার মধ্যে আদমপুরেই রয়েছে ৩০০ হেক্টর জমি। রায়না থেকে আদমপুর যাওয়ার রাস্তার বিভিন্ন অংশ জলের তলায় রয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, রূপনারায়ণের জলস্তর উঁচু থাকায় মুণ্ডেশ্বরীর জল নামতে পারছে না। আর সে কারণেই মুণ্ডেশ্বরীর জল ‘ব্যাক ফ্লো’ হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফি বছরই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিকাশী ব্যবস্থা ও নদী সংস্কার নিয়ে সরব হয়েছেন। রূপনারায়ণের জলস্তর উঁচু থাকায় মুণ্ডেশ্বরীর জল নামতে পারছে না আর সে কারণে মুণ্ডেশ্বরীর জল ‘ব্যাক ফ্লো’ করছে। জেলাশাসক জানান, দেবখাল নিয়ে একটা সমস্যা আছে। তাই ইতিমধ্যেই সেটা সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। টেন্ডার ডাকা হয়েছে, আশা করি কাজ সম্পূর্ণ হলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।
সায়নী সরকার