অভাব অনটনের সংসারে রুজিরুটির টানে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা এই কাজ করছেন। ভ্যান টানতে গিয়ে হাত ও পা ভেঙে জখমও হয়েছেন অনেক মহিলা। কঠোর পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ সহ অস্বাস্থ্যকর কাজ হলেও, প্রশ্ন একটাই উপায় কী! নোংরা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধের ঘ্রাণ নেওয়ার সহ্য ক্ষমতাও তৈরি করতে হচ্ছে তাঁদের।
আরও পড়ুন : এই প্রকল্পে একবার নাম তুললে কৃষকদের ‘নো টেনশন’! প্রচার গাড়িতেই মিলবে আবেদনের ফর্ম
advertisement
নোংরা আবর্জনার দূষণ থেকে রোগব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা ও আতঙ্ক কাটিয়েই শহরের রাজপথে ভ্যান টানছেন ওই মহিলারা। তাঁদের দাবি, শাড়ি পড়ে ভ্যানে চড়তে পারেন না। আবর্জনা ভরা ভ্যান টানতে শারিরীক মেহনত লাগে। দুর্গাপুর পুরসভার দাবি, তাঁরাও প্রমাণ করছেন মহিলারা কোনও কিছুতেই পিছিয়ে নেই। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুরসভায় রয়েছে মোট ৪৩ টি ওয়ার্ড। ওয়ার্ডগুলিতে প্রতিদিন নোংরা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন প্রায় ২৪০০ জন সাফাই কর্মী।
আরও পড়ুন : লোন মেটাবেন কি করে? কৃষকদের মাথায় হাত! বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে সব..
তার মধ্যে প্রায় ৬০০ জন মহিলা কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। প্রতিদিন এলাকার বাড়ি বাড়ি নোংরা আবর্জনা ভ্যানে করে সংগ্রহ করেন তাঁরা। পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা পৃথকভাবে সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিন সকালে শতাধিক মহিলা সাফাই কর্মী আবর্জনা সংগ্রহ করতে এলাকাবাসীর দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যান। ভ্যানে ওই নোংরা আবর্জনা সংগ্রহ করে ভ্যান টেনে এলাকার একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছন। সেখানে পুরসভার আবর্জনা বহনকারী চারচাকা গাড়ি আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভ্যান থেকে ওই নোংরা আবর্জনা চারচাকা গড়িতে তুলে নেওয়া হয়।এরপর ওই আবর্জনা শঙ্করপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। অধিকাংশ মহিলা সাফাই কর্মীর দাবি, কোনও কাজই ছোট নয়। তবে বংশে কেউ কোনও দিনও ভ্যান চালায়নি। পেটের দায়ে আজ শাড়ি পড়ে ভ্যান টানতে হচ্ছে। দৃষ্টিকটু হলেও কোনও উপায় নেই।পুরসভার দাবি, মহিলারা পুরুষের চেয়ে কোনও অংশে কম নন। তাঁরা যেমন বিমান থেকে ট্রেন , বাস, টোটো চালিয়ে রোজগার করতে পারেন। তেমনই ভ্যান টেনে হলেও তাঁরা স্বনির্ভর হচ্ছেন।