গ্রামের অন্যতম সদস্য অশোক মন্ডল জানান, কৃষি প্রধান এলাকা হিসাবে পরিচিত এই গ্রামে কোন শারদীয়া উৎসব হয় না, কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের সকল স্তরের মানুষ লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ধরে উৎসবে সামিল হন। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে শুধু পুজো নয়, মেলা, যাত্রা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও চলে।
advertisement
পাশাপাশি ভাসানে আতশবাজী প্রদর্শনী করা হয়। প্রায় একশো দশ বছরের প্রাচীন এই লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মী ও নারায়ণ একসঙ্গে পূজিত হন এখানে। গ্রামবাসীরা দুর্গাপুজোর আনন্দ না করলেও লক্ষ্মীপুজোয় মেতে ওঠেন ছোট থেকে বড় সবাই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত চাষের ফলন ভাল হওয়ার জন্য এই গ্রামে লক্ষ্মীপুজো চালু করা হয়। সেই থেকে আজও ঐতিহ্য পরম্পরার মধ্যে দিয়ে উৎসব পালন করা হয়। এই গ্রামের প্রধান পুজো লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা। এবছর পুজোকে ঘিরে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে যাত্রা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে যাত্রা। তারপরে হবে আতশবাজী সহকারে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। আর তারপরেই শেষ হবে মনোহরপুর গ্রামের ঐতিহ্যপূর্ণ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো।