ইংরেজ আমলের কথা দেশে তখন স্বদেশী আন্দোলনের জোয়ার। দিকে দিকে বর্জন করা হচ্ছে বিদেশি পণ্য। পিছিয়ে ছিল না এই নন্দীবাড়ির পুজোও। ঠাকুরের গায়ের রেশমের পোশাক বর্জন করে মাটির সাজ নিয়ে আসা। তখনই এই পুজো আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এলাকায়।
এই বাড়ির সদস্য গান্ধীজীর শিষ্য এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামী ললিতমোহন চক্রবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে জেলে গিয়েছিলেন। তাঁকে জেল থেকে ছাড়িয়ে ষষ্ঠীর দিনে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
advertisement
আরও পড়ুন : বয়ে আনে আগমনী বার্তা, কিন্তু ঠাঁই হয় না দেবীর চরণে! কেন কাশফুলে পুজো হয় না জানেন?
পুজোর ইতিহাস আরও পুরনো, প্রায় ১৪২ বৎসর আগে টোলের পন্ডিত রামব্রহ্ম চক্রবর্তী এই পুজোর সূচনা করেন। সেই সময় দুর্গাপুজোর জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়েছিল দালানবাড়ি।
সেই থেকে বংশপরম্পরায় চলে আসছে চক্রবর্তী বাড়ির পুজো। এখনও সমস্ত নিয়ম মেনে চলে এই পুজো। এই পুজো এখনও চালিয়ে যান চক্রবর্তী বাড়ির সদস্য স্বপন চক্রবর্ত্তী। ইতিহাসের সঙ্গে এই পুজো জড়িত থাকায় এখনও এই পুজো দেখতে এখানে আসেন অনেকেই।