নিপুণ হস্তশিল্প চোখ টানছে পর্যটক-সহ জেলার মানুষদের। পুরুলিয়া জেলায় কমবেশি সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। পুজোর সময়তেও পর্যটকেরা নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে আসেন পুরুলিয়াতে। আর গড় পঞ্চকোট পুরুলিয়ার অন্যতম টুরিস্ট স্পট। তাই এখানে একবার হলেও ঢু মেরে যান পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন: দুর্গা মা-এর পুজো, তাই মায়েদের সন্মান জানানোই পুজোর এবারের থিম! কোথায়?
advertisement
এখানে আগত পর্যটকদেরও যথেষ্ট পছন্দ হচ্ছে এই কাঠের দুর্গা। রিঙ্কু কৈবর্ত নামে এক হস্তশিল্পী এই কাঠের দুর্গা তৈরি করছেন। এলাকায় তাঁর দোকান ‘দিদির দোকানে’-র নামেই পরিচিত। এখনও সেই ভাবে পর্যটনের মরসুম শুরু না হওয়ার কারণে এই কাঠের দুর্গা গুলির দাম তিনি রেখেছেন ২০০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু শীতের মরসুমে এই কাঠের দুর্গার দাম থাকবে ৩০০০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: পুজোয় এবার মদ কিনতে বিরাট সমস্যা হবে? লোকসানের আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ আবগারি দফতর
এ বিষয়ে হস্তশিল্পী রিঙ্কু কৈবর্ত জানান , পরিবারের সব সদস্যরা মিলে তারা এই কাজ করে থাকেন। কেঞ্জাকুড়া থেকে এই কাজ তিনি শিখেছেন। এই কাজে যথেষ্ট পরিশ্রম রয়েছে। গামার গাছ ও সোনাঝুরি গাছ দিয়ে তৈরি তাঁদের এই দুর্গা। কাঠের উপর নির্ভর করে দুর্গার দাম নির্ধারিত হচ্ছে। একসঙ্গে ৫টি কাজ করা যায়। এই কাজ করতে সময় লাগে প্রায় সাত দিন।
পুরুলিয়া জেলাতে কাঠের উপর হস্তশিল্পের কারুকার্য কমই দেখা যায়। কাঠের উপর হস্তশিল্প বাঁকুড়া জেলাতে বিখ্যাত। তাই বাঁকুড়ার প্রখ্যাত কাঠের শিল্পকলাকে পুরুলিয়ায় নিয়ে আসছেন শিল্পী রিঙ্কু কৈবর্ত। বিশেষত দুর্গাপুজোর পূর্বে তাঁর হাতের তৈরি দুর্গা যেন মন কেড়ে নিচ্ছেন পর্যটক-সহ জেলার মানুষদের।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





