দোলের দিন দেবী বোধনের পর ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পুজো হয়। এরপর এলাকার মানুষ মায়ের পায়ে আবির দিয়ে মেতে ওঠেন রং খেলায়। দোলের পরের দিন শ্রীরামপুরের বাসিন্দাদের কাছে অষ্টমী। এদিন এলাকার কোনও বাড়িতে উনুন জ্বলে না। প্রত্যেকেই এদিন পুজো প্রাঙ্গণে মায়ের ভোগ খেয়ে থাকেন।
advertisement
পূর্বে এই পুজোয় নবমীতে ছাগ বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বলি বন্ধ। নবমীতে এই পুজোর ভোগে মাছ খাওয়ানোর নিয়ম প্রচলিত। এদিন এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও শ্রীরামপুর অঞ্চলের অনাথ আশ্রমের খুদেরা সেখানে যান। এরপরের দিন শ্রীরামপুর বাসির মনখারাপের দিন। কারণ এদিন দশমী। নিয়ম মেনে মহিলারা দেবীবরণ সেরে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। এরপর রাতে শোভাযাত্রা নিয়ে শ্রীরামপুরের দে বাবুর ঘাটে গঙ্গায় মায়ের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় এই পুজো।
যে কটি ঐতিহাসিক বাড়ির পুজো দেখার জন্য মানুষ ভিড় করেন তার মধ্যে এই দে বাড়ির পুজো রয়েছে। পুজোর পাঁচ দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন এই বাড়ির পুজো দেখতে। বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বদল হলেও এখনও নিয়ম পালনে কঠোর এই বাড়ি৷
আরও পড়ুন : জনজোয়ার কাকে বলে দেখাল অষ্টমীর রাত! মণ্ডপে মণ্ডপে শুধুই মাথার মিছিল
ষষ্ঠী ও দশমীর দেবীবরণ হয় দেখার মতো যেখানে প্রায় একশোর কাছাকাছি কূলবধূ মা’কে বরণ করেন। ধুনো পোড়ান বাড়ির বড়রা। অষ্টমীতেও হয় ধুনো পোড়ানো, নবমীর ‘বেড়াঞ্জলি’ তে বাড়ির পুত্র-পুত্রবধূরা মা কে প্রদক্ষিণ করে বিয়ের জোড় ও বেনারসী পড়ে এবং অঞ্জলি দেয়। এটিও একটি বিশেষ অনুষ্ঠান এই বাড়ির পুজোয়।হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে ঐতিহ্যশালী পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম দে’ বাড়ির দুর্গোৎসব। আগের মতো জমিদারি প্রতিপত্তি এখন না থাকলেও পুজোতে নিষ্ঠা কম হয়নি। ৪০০ জন একসাথে একই বাড়িতে বসবাস করছে।