Digha: দিঘায় তো অনেকবার এসেছেন! কিন্তু জানেন কি দিঘায় প্রথম খাবারের হোটেল কোনটি বলতে পারলে আপনি সেরা...!

Last Updated:
Digha: দিঘার প্রথম হোটেলটি কোথায় ছিল? ১৯৫০ সালে মুরারি খাঁড়া তৈরি করেন এই হোটেল, যেখানে শুরু হয় দিঘার খাবারের ইতিহাস
1/6
দিঘার প্রথম খাওয়ারের হোটেল কোনটি জানেন? আজকের দিঘায় এলে চোখে পড়বে সারি সারি রেস্তরাঁ—সাউথ ইন্ডিয়ান থেকে চাইনিজ, কী চাই আপনার! সবই এখন দিঘায় হাতের নাগালে। অথচ ১৯৫০ সালের আগে দিঘায় তেমন কোনও খাবারের হোটেল ছিল না। খাওয়ার হোটেলের কথা জানতে চাইলে তার আগেই ঘুরে দেখতে হবে দিঘার উৎপত্তির ইতিহাস—কী ভাবে বালুকাবেলায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছিল পর্যটনের আলোর রেখা। (তথ্য-মদন মাইতি)
দিঘার প্রথম খাওয়ারের হোটেল কোনটি জানেন? আজকের দিঘায় এলে চোখে পড়বে সারি সারি রেস্তরাঁ—সাউথ ইন্ডিয়ান থেকে চাইনিজ, কী চাই আপনার! সবই এখন দিঘায় হাতের নাগালে। অথচ ১৯৫০ সালের আগে দিঘায় তেমন কোনও খাবারের হোটেল ছিল না। খাওয়ার হোটেলের কথা জানতে চাইলে তার আগেই ঘুরে দেখতে হবে দিঘার উৎপত্তির ইতিহাস—কী ভাবে বালুকাবেলায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছিল পর্যটনের আলোর রেখা। (তথ্য-মদন মাইতি)
advertisement
2/6
তারপরই আসবে মূল প্রশ্নের উত্তর—দিঘার প্রথম খাবার হোটেল কোনটি। সেই প্রথম হোটেলটির নাম ছিল ‘চীপ ক্যান্টিন’, আর আশ্চর্যের বিষয়, আজ সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে ঝাঁ চকচকে ‘আম্রপল্লী রিসর্ট’, যেটা আপনারা রাস্তার ওপর দিয়েই দেখতে পান। তবে এর পেছনে রয়েছে এক অজানায় ইতিহাস যা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।
তারপরই আসবে মূল প্রশ্নের উত্তর—দিঘার প্রথম খাবার হোটেল কোনটি। সেই প্রথম হোটেলটির নাম ছিল ‘চীপ ক্যান্টিন’, আর আশ্চর্যের বিষয়, আজ সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে ঝাঁ চকচকে ‘আম্রপল্লী রিসর্ট’, যেটা আপনারা রাস্তার ওপর দিয়েই দেখতে পান। তবে এর পেছনে রয়েছে এক অজানায় ইতিহাস যা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।
advertisement
3/6
স্বাধীনতার পর দিঘা যতটা দ্রুত জনপ্রিয় হতে শুরু করল, ততটাই কম ছিল খাওয়ার হোটেলের ব্যবস্থা। পর্যটকেরা সমুদ্র দেখতে আসতেন ঠিকই, কিন্তু খাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য জায়গা খুঁজে পেতেন না। সেই অভাব মেটাতে ১৯৫০-৫১ সালের দিকে ওল্ড দিঘার বাসস্ট্যান্ডের পাশে চীপ ক্যান্টিন কমপ্লেক্সের ভিতরে মুরারি খাঁড়া নিজের হাতে বানান দিঘার প্রথম খাবার হোটেল। মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনি, কাঁচা উঠোন—এই ক্ষুদ্র পরিসরেই শুরু হয়েছিল দিঘার খাওয়ার হোটেলের ইতিহাস। এখানেই অর্ডার অনুযায়ী তৈরি হত টাটকা মাছের তরকারি, ভাত, ডাল, আর নানাধ স্বাদের রকমারি পদ।
স্বাধীনতার পর দিঘা যতটা দ্রুত জনপ্রিয় হতে শুরু করল, ততটাই কম ছিল খাওয়ার হোটেলের ব্যবস্থা। পর্যটকেরা সমুদ্র দেখতে আসতেন ঠিকই, কিন্তু খাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য জায়গা খুঁজে পেতেন না। সেই অভাব মেটাতে ১৯৫০-৫১ সালের দিকে ওল্ড দিঘার বাসস্ট্যান্ডের পাশে চীপ ক্যান্টিন কমপ্লেক্সের ভিতরে মুরারি খাঁড়া নিজের হাতে বানান দিঘার প্রথম খাবার হোটেল। মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনি, কাঁচা উঠোন—এই ক্ষুদ্র পরিসরেই শুরু হয়েছিল দিঘার খাওয়ার হোটেলের ইতিহাস। এখানেই অর্ডার অনুযায়ী তৈরি হত টাটকা মাছের তরকারি, ভাত, ডাল, আর নানাধ স্বাদের রকমারি পদ।
advertisement
4/6
স্বাধীনতার আগে বীরকুল–দিঘা অঞ্চলে ইংরেজদের গ্রীষ্মকালীন বিশ্রামস্থল হিসেবে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা স্থায়ী হয়নি। পরে দীর্ঘদিন এই এলাকা প্রায় অচেনা, অনাবিষ্কৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। স্বাধীনতার পর মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় দিঘাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনা নিয়ে এগোলেন।
স্বাধীনতার আগে বীরকুল–দিঘা অঞ্চলে ইংরেজদের গ্রীষ্মকালীন বিশ্রামস্থল হিসেবে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা স্থায়ী হয়নি। পরে দীর্ঘদিন এই এলাকা প্রায় অচেনা, অনাবিষ্কৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। স্বাধীনতার পর মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় দিঘাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনা নিয়ে এগোলেন।
advertisement
5/6
সমুদ্রতীরের মনোরম পরিবেশে, সহজ যোগাযোগ এবং ভবিষ্যৎ পর্যটন সম্ভাবনা মাথায় রেখে শুরু হয় দিঘার পরিকল্পিত উন্নয়ন। ধীরে ধীরে রাস্তাঘাট, থাকার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা—সব মিলিয়ে আজকের দিঘার ভিত্তি তৈরি হয়। জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তেই প্রয়োজন হয় পর্যটকদের জন্য একটি খাওয়ার হোটেল, আর সেই প্রয়োজন মেটাতে তৈরি হয় দিঘায় প্রথম খাবারের হোটেল‘চীপ ক্যান্টিন’।
সমুদ্রতীরের মনোরম পরিবেশে, সহজ যোগাযোগ এবং ভবিষ্যৎ পর্যটন সম্ভাবনা মাথায় রেখে শুরু হয় দিঘার পরিকল্পিত উন্নয়ন। ধীরে ধীরে রাস্তাঘাট, থাকার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা—সব মিলিয়ে আজকের দিঘার ভিত্তি তৈরি হয়। জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তেই প্রয়োজন হয় পর্যটকদের জন্য একটি খাওয়ার হোটেল, আর সেই প্রয়োজন মেটাতে তৈরি হয় দিঘায় প্রথম খাবারের হোটেল‘চীপ ক্যান্টিন’।
advertisement
6/6
তবে সময় বদলেছে, দিঘার চেহারাও আজ পুরোপুরি পাল্টে গেছে। একসময়ের সেই খড়ের ছাউনি–মাটির দেয়ালের চীপ ক্যান্টিন আজ রূপ বদলে একেবারে ঝকঝকে রিসর্ট যার নাম ‘আম্রপল্লী রিসর্ট’। ওল্ড দিঘার ব্যস্ত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এই রিসর্ট ভবন দেখে কেউ বুঝতে পারবেন না, এখানেই দিঘার খাবারের ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছিল। (তথ্য-মদন মাইতি)
তবে সময় বদলেছে, দিঘার চেহারাও আজ পুরোপুরি পাল্টে গেছে। একসময়ের সেই খড়ের ছাউনি–মাটির দেয়ালের চীপ ক্যান্টিন আজ রূপ বদলে একেবারে ঝকঝকে রিসর্ট যার নাম ‘আম্রপল্লী রিসর্ট’। ওল্ড দিঘার ব্যস্ত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এই রিসর্ট ভবন দেখে কেউ বুঝতে পারবেন না, এখানেই দিঘার খাবারের ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছিল। (তথ্য-মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement