রাজনৈতিক রং ভুলে সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এক ছাতার তলায় মিলিত হয়ে বসিরহাটের গর্ব বীর সন্তানদের পাশে। বসিরহাট পুরাতন বাজারের শহীদ দীনেশ মজুমদারের আদি বাড়ি, এখান থেকেই স্বদেশী আন্দোলন রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বিনয়, বাদল, দীনেশ। বাম আমলেব্রাত্য ছিলেন বীর শহীদ দীনেশ মজুমদার। বর্তমানে শহীদ দীনেশ মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি উদ্যোগী হলেন, এই নিয়ে বারবার আন্দোলন হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়।
advertisement
আনাচে-কানাচে গর্জে উঠেছিল ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা। উদ্যোক্তা দিলীপ মজুমদার, অজয় বাইন, কৌশিক দত্ত, জগন্নাথ দাস, চায়না মিত্র সোনালী শীল, অঞ্জন মিত্ররা বসিরহাট পৌরসভার কাছে লিখিতভাবে দাবি করেন শহিদ দীনেশ মজুমদারের নামে ইটিন্ডা রোডের নাম বদল করে শহিদ দীনেশ মজুমদার রোড করা হোক।
আরও পড়ুন- মৃত্যুর ঠিক আগেই ‘মলত্যাগ’ করে মানুষ, কেন জানেন…? চমকপ্রদ ‘সত্যিটা’ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
সেই দাবি মেনে বসিরহাট মহকুমা শাসক আশীষ কুমার, বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায় চৌধুরী তাদের দাবি মান্যতা দিয়ে শতাব্দী প্রাচীন ইটিন্ডা রোড কে শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড নামকরণ করলেন। এই কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অজয় বাইন বলেন, আমরা চাই বসিরহাটের গর্ব বীর সন্তানদের এই ছবি নিয়ে সংগ্রহশালা করা হোক যাতে নতুন প্রজন্ম তাদের পুরনো সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য বীর সন্তানদের কথা মনে রাখতে পারে।
বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায় চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন সেই দাবি মেনে আমরা শহীদ দীনেশ মজুমদার রোড করেছি পাশাপাশি কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মনোজ মিত্র যার বাড়ি বসিরহাট ডন্ডির হাট এলাকায় এই বীর সন্তানদের দুষ্প্রাপ্য পুরনো ছবি দিয়ে যাতে একটি সংগ্রহশালা করা যায় তার জন্য আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। বরাবরই আমরা বীর শহীদদের যোগ্য সম্মান দিয়ে আসেছি আগামী দিনেও আমরা বসিরহাটবাসী তাদের কথা মনে রাখব।”
জুলফিকার মোল্লা