জেলার উপকূলবর্তী এলাকার ঈষদ নোনা জল চিংড়ি মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত। জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, চণ্ডিপুর, রামনগর ও খেজুরি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি মাছের চাষ হয়। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভেনমি চিংড়ির চাষ বাড়ছে। কারণ ভেনামই চিংড়িকে বলা হয় সাদা সোনা। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্ববাজারে দিন দিন বেড়ে চলেছে চিংড়ির নতুন প্রজাতি ‘ভেনামি’র চাহিদা ও দাম উভয়ই। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের বিরুদ্ধে নতুন শুল্কনীতি আরোপ করায় সমস্যায় পড়েছেন চিংড়ি চাষি থেকে চিংড়ি ব্যবসায়ীরা।
advertisement
সরকারি হিসেব অনুযায়ী জানা যায় আমেরিকায় ভারতীয় মাছের বাজার দখল প্রায় ৪০ শতাংশ। যার বেশিরভাগটা জুড়ে রয়েছে চিংড়ি মাছ। পশ্চিমবাংলা থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন এক্সপোর্টার বিদেশে প্রতিবছর চার থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার চিংড়ি রফতানি করে। আর যার বেশিরভাগটাই যায় আমেরিকায়। পশ্চিমবাংলার মধ্যে সবথেকে বেশি চিংড়ি চাষ হয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ট্রাম্পের এই শুল্ক খাঁড়ায় রাজ্যের চিংড়ি উৎপাদনকারীদের জন্যও একবড় ধাক্কা মনে করছেন।
চিংড়ি ব্যবসায়ী বিমল দাস জানান, ” কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে চিংড়ি চাষ করেছিলাম। কিন্তু সেই চিংড়ি রফতানির ক্ষেত্রে যে পরিমান শুল্কের ঘোষনা করা হয়েছে তা শুনে চিন্তায় পড়েছি। চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৫ জন। উৎপাদিত চিংড়ি বিদেশে রফতানি করা হয়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের বিরুদ্ধে শুল্কনীতিতে চিংড়ি চাষ মার খাবে।’ চিংড়ি চাষ থেকে অর্থ না পেলে চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পারিশ্রমিক এবং ঋণের বোঝা কিভাবে মিটবে তার চিন্তায় চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার চিংড়ি উৎপাদনকারীরা।