শুক্রবার সকালে স্কুল যাওয়ার জন্য ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রঘুনাথপুর মোড়ে বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন হেলাল শেখ। ইসলামপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। সেইসময়ই ওই এলাকার একটি দোকানকে কেন্দ্র করে রাকেশ মোল্লা নামের এক ব্যক্তির সাথে সমীর মোল্লা নামে আরেক ব্যক্তির বচসা বাধে। অভিযোগ, সে সময় হেলাল শেখের কানে আসে বোমা মারা হবে। তিনি ছেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিস্ফোরণে বোমার টুকরো ছিটকে আসায় পা ভেঙে যায় তাঁর। কোনওরকমে ছেলেকে রক্ষা করেন তিনি। হেলাল বলেন, ‘‘আমি ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাব বলে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পাশে দু’ পক্ষের মধ্যে বচসা চলছিল। কানে এল, বোমা ফেলা হবে। পালানোর চেষ্টা করলেও বোমা বিস্ফোরণের পরে আমার পায়ে আঘাত লাগে। আমি পড়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানতে পারি আমার বাঁ পা ভেঙে গিয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন : আদিগন্ত তুষারাবৃত স্টেশনে তুষারপাতের মধ্যেই এল রেলগাড়ি, ভিডিওতে দেখুন বরফঢাকা শিমলার স্বর্গীয় রূপ
আহত শিক্ষক আরও বলেন, ‘‘একজন সাধারণ পথচলতি মানুষ হয়ে এইভাবে এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের শিকার হতে হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।’’ স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতের আত্মীয় সৌমেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘গত দু’দিন থেকে একটি দোকান নিয়ে রাকেশ মোল্লা ও সমীর মোল্লার মধ্যে বচসার জেরে সরগরম হয়েছিল এলাকা। আর তার পরেই এই ঘটনা ঘটে। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুক।’’
আরও পড়ুন : এই নকল কলাগাছই কি ভবিষ্যতে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ আটকাবে?
আরও পড়ুন : মহাসাগরের স্বচ্ছ জলে তিমির সঙ্গে ডলফিনের যুগলনাচ, দেখুন ড্রোন ক্যামেরার অনবদ্য ভাইরাল ভিডিও
এদিকে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত রাকেশ মোল্লা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ডোমকল থানার পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।